টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে সহযোগিতার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিদর্শন করেছেন চীনের একটি প্রতিনিধিদল।
রোববার (৭ জুলাই) পরিদর্শনকালে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের (সিটিইএক্সআইসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুয়াং লিয়ানশেং। প্রতিনিধিদলটি বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরীসহ বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে পোশাক ও বস্ত্রখাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি সহজতর করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ, পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জন বিশেষ করে টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ, কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং ব্যবসার দিগন্ত সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বিভিন্ন দিক, আর্থসামাজিক খাতে শিল্পের অবদান এবং সেইসঙ্গে শিল্পটি পরিবর্তিত বিশ্ববাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে কীভাবে উচ্চমূল্যের ওভন ও ম্যানমেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক তৈরির দিকে এর ক্রমবর্ধমানভাবে ঝুঁকছে, তা প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৌশলগত ভৌগোলিকগত অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোর কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশে হাই-এন্ড টেক্সটাইল এবং ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে চীনা বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, এতে করে এতে করে উভয় দেশই লাভবান হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সংযোগ শিল্পে চীনের এই বিনিয়োগ খুবই সহায়ক হবে।
জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের সহায়তাও কামনা করেন তারা।
সিটিইএক্সআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুয়াং লিয়ানশেং, বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ এবং নীতি মূল্যায়নে প্রতিনিধিদলটির গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে দলটির বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন পোশাক কারখানা পরিদর্শনকালে কর্মপরিবেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত। এখানকার শ্রমিকদের কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্যমী মনোভাব প্রশংসনীয়। অনেক চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে আগ্রহী।হুয়াং লিয়ানশেং আরও বলেন, আমরা অন্যান্য চীনা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই, যারা এখনো বাংলাদেশে আসেনি। এই দেশটির বিনিয়োগের জন্য প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা চীনা কোম্পানিগুলোকে এদেশে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করবে।