স্থায়ীভাবে চাঁদপুর সেতুর টোল ও ইজারা বন্ধের দাবিতে এবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে চাঁদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বশির আহমেদ।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেতে ৫ই আগষ্ট (প্রতীকী ৩৬ই জুলাই) রাজপথে নেমে আসে জীবন উৎসর্গের নিমিত্তে এবং একইদিনে ছাত্র-জনতা তাদের দাবী বাস্তবায়ন করে। ২০২৪ এর গণ- আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো দেশের চলমান অনিয়ম সংস্কার করা। প্রায় দুই দশক আগে চাঁদপুর সদর উপজেলায় গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপরে ১৮ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে “চাঁদপুর সেতু” নির্মাণ করা হয়। যা চাঁদপুর সড়ক বিভাগাধীন কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষীপুর-বেগমগঞ্জ সড়কের ৬৯ কিলোমিটারে অবস্থিত।
চাঁদপুর সেতু থেকে এযাবৎকাল পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় অধিক পরিমান রাজস্ব আয় করে সরকার। কিন্তু টোল আদায় স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কোনও প্রয়াস দেখা যাচ্ছে না। আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা চাঁদপুরের গণমানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে “চাঁদপুর সেতুর” চলমান টোল আদায় এবং ইজারা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনস্বার্থে ২০১৪ সালে ৩৫.০০.০০০.০৩০.১৫.০০১.২০১৪- ০৬ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে ২০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের ২১টি সেতুর টোল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু “চাঁদপুর সেতু” ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্য হওয়ায় টোল কার্যক্রম চলমান থাকে যা জনস্বার্থ বিরোধী এবং গণদাবীর পরিপন্থি। এমনাবস্থায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা চাঁদপুরের গণমানুষের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় উপদেষ্টাকে “চাঁদপুর সেতু” সকল প্রকার টোল ও ইজারা জনস্বার্থে স্থায়ীভাবে বন্ধ বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।