সিবিএ এক নেতার অপকর্মে ডুবতে বসেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর এরিয়া। কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, স্টাফ ঋণ, বদলি বাণিজ্যের সব নিয়ন্ত্রক তার হাতে। স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা পতনের পর খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছে এই সিবিএ নেতা শরীফ উল্লাহ।সিবিএ কার্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদের ছবি নামিয়ে বি এনপি সাজার চেষ্টা করতেছে। অথচ আওয়ামী লীগের যে কোন প্রোগ্রামে অর্থ দিয়ে দলবল নিয়ে ব্যানার হাতে এই সিবিএ এই নেতা ছিল সামনের সারিতে। তারপরও তিনি এখনো একক সিবিএর হর্তাকর্তা। এ নেতা হলেন জনতা ব্যাংক কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সভাপতি শরীফ উল্লাহ। সিবিএ নেতা হয়ে জনতা ব্যাংক চাঁদপুর এরিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাদের অতিষ্ঠ করে পেলেছেন।তাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হলেও স্বাধীন হয়নি জনতা ব্যাংক চাঁদপুর এরিয়া।
জনতা ব্যাংক চাঁদপুর এরিয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, কাগজপত্রে তাদের নাম না থাকলেও তারা এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করে আছেন যে, তাদের কথা কর্তৃপক্ষ শুনতে বাধ্য। এমনকি চাকরিচ্যুতিও হয় তাদের কথায়।
জানা গেছে, সিবিএ সভাপতি পদ নিয়ে অনেকের মাঝে অনেক প্রশ্ন ছিল। শরীফ উল্লাহ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিবিএ গ্রুপে যোগ দিয়ে সভাপতি হয়ে যান। নিয়ম অনুযায়ী একটি কমিটির মেয়াদ দু’বছর। সেই হিসাবে আরো আগেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু ওই কমিটি জোর করে নেতৃত্বে বহাল রেখেছেন। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদও করতে পারেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ওই সিবিএ নেতারাই কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে তার ম্যানেজারী কেড়ে নিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো কারণ ব্যতিরেকে তাকে উল্টো বদলী করেছে।
এ নেতা তার মতের বাহিরে গেলেই বদলী ধমক ও হুমকি দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন অপকর্ম করে বানিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। পিয়ন হয়েও ঢাকায় বাড়ি ও রূপগঞ্জে তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মতলবে তার নামে চোরাই বালি সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার ঢাকাস্থ জনতা ব্যাংকে কর্মরত তার ভাইকে দিয়ে প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে অনেক রকম প্রাতিষ্ঠানিক আসবাবপত্র ক্রয়-সরবারহ করে থাকেন।
কর্মচারীরা জানান, ২০১৯/২০২০ সালে নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র অফিসারদের নিজ জেলায় বদলী বাবদ ১৫০০০০ টাকা করে ফিক্সড করে নিয়েছেন। একটি বদলীর জন্য এতো টাকা অনেককে অবাক করেছে। ম্যানেজারি পদ পাইয়ে দিতে ৫০০০০-১০০০০০/- টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন। স্টাফ ঋণ নিতে ৩০০০০-৫০০০০/- টাকা সহ নানান অপকর্মের ফি তালিকা রয়েছে।
জানা যায়, তার এসব কাজে ঘনিষ্ঠ সহযোগী জনতা ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর কো-অপারেটিভ শাখায় কর্মরত শাহজাহান হারুন।