চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গায় অবস্থিত চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ তামজিদ হোসেন ও প্রভাষক ডাঃ মন্জুরুল হক মোহনের বিরুদ্ধে অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় যে, কলেজের ৮জন প্রভাষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব ইয়াসির আরাফাত এর নিকট ২৭ই জুন, ২০২৪খ্রীঃ ৩ পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ কে সমর্থন দিয়ে আরো ৬জন প্রভাষক একাত্মত প্রকাশ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরাস্তি উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল শামীমকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ও পহেলা জুলাই দুই পক্ষকে ডেকে অভিযোগ শুনেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ দিকে অভিযোগের কোন সুষ্ঠু সমাধান না হওয়াতে ২০ আগষ্ট, রোজ মঙ্গলবার ২০২৪খ্রীঃ বেলা ১১ ঘটিকা থেকে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়ক অবরোধ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এক পর্যায়ে কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের অনুরোধক্রমে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয় কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ডাঃ আব্দুল বাসেত ও ডাঃ মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ তামজিদ হোসেন ও প্রভাষক ডাঃ মোহনের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের সত্যতা থাকার পরেও আমরা সঠিক বিচার পাই নাই।
একটি অভিযোগ উল্লেখ করে প্রভাষকদ্বয় বলেন, কর্মরত স্টাপ দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকেও কিভাবে বেতন নিচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
প্রভাষকদ্বয় আরো জানান, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা নিজের নিরাপত্তার কারনে কলেজে ক্লাস করতে সাহস পাচ্ছে না, নতুন কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না। এমনকি একাধিক ছাত্রী স-শরীরে অভিযুক্তদের বাবা মা ও উদ্বর্তন কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করার পরেও কোন সুবিচার পায় নাই। এ ভাবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া যায় না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা জানান, আমরা সকল অভিযোগের লিখিত কাগজ পত্র পেয়েছি এবং সকল অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছি।
আমাদের এক দফা এক দাবী, চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডাঃ তামজিদ হোসেন ও প্রভাষক ডাঃ মোহনের বিরুদ্ধে আনিত সকল অর্থের হিসাব দিতে হবে ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সিনিয়র প্রভাষক যথাক্রমে ডাঃ আবুল বাসেত, ডাঃ মোহাম্মদ ইয়াসিন, ডাঃ ফরিদ আহমেদ, ডাঃ নাজনীন সুলতানা, ডাঃ ফাতেমা আক্তার, ডাঃ মাহবুবা, ডাঃ জুয়েল মাহবুব, ডাঃ নূরুল আমিন, ডাঃ তাজুল ইসলাম, ডাঃ গোলাম সরোয়ার, ডাঃ নাসরীন সুলতানা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডাঃ আলতাফ হোসেন, অফিস সহকারী ডাঃ কাউসার আলম।
হোমিওপ্যাথিক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে আহসান হাবিব পাটওয়ারী, আলী হোসেন মুন্সী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরীফ হোসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে আবু হানিফ, সম্রাট, ওমর, আক্তার হোসেন শিহাব, সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান আরজু প্রমুখ।