চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড তিন তালগাছতলা নুরু গাজী বাড়ির ইউনুস গাজী’র স্ত্রী তিন সন্তানের জননী হোসনেয়ারা বেগমের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তার পরিবারের লোকজন। ২৯ আগস্ট বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে হোসনেয়ারার পরিবারের নিকট রাতে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে। পরে জানাজা শেষে লাশের দাফন হয় বাপের বাড়ির গোরস্থানে। এই রহস্য জনক মৃত্যুর পর থেকে পলাতক হোসনেয়ারা স্বামী ইউনুস গাজী, বাসুর শাহজাহান গাজী, দেবর ওসমান গাজী তার স্ত্রী ও হোসনেয়ারার তিন সন্তান তানহা, তামান্না ও তালহা। বড় মেয়ে তানহা পুলিশের সামনে জবানবন্দি দিলেও পুলিশ যাওয়ার পর পলাতক হয়ে যায়।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী থেকে জানা যায় যে ইউনুস গাজী’র পরিবারের সকল লোকজন পলাতক হলেও তারা বিষয়টি রফাদফা করার জন্য বিভিন্ন মহলে তকদির করে যাচ্ছে। আর একটি কুচক্রী মহল ইউসুফকে এই ঝামেলা থেকে মুক্ত করার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ইউনুস গাজী ও পুরান বাজারে ব্যবসা করার নাম করে তার শশুর বাড়ি লোকজন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে।
এই দিকে নিহত হোসনেয়ারার বড় বোন রেহানা বেগম কান্না করতে করতে বলেন আমার বোনের লাশ থানা থেকে নিতে বা তাকে শেষ দেখা দেখতে শশুর বাড়ি থেকে কেউ আসে না। আমারা রাতে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসলে জানাযায়ও কেউ আসে নাই, এমনকি আমার বোনের তিনটা সন্তান তাদেরকেও তারা তাদের মাকে জীবনেরতরে শেষ দেখাটুকু করতে দেয়নি।আমার বোনের সন্তানরা এসে সত্য ঘটনাটা সবার কাছে বলে দিবে বলেই পরিকল্পনা করে তাদের নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমার বোন তাদের সংসারে একমুঠ ভাত খাওয়ার জন্যও বহু নির্যাতন সহ্য করেছে। ১৫/১৬ বছর বিবাহিত জীবনে আমার বোন তার স্বামী ,দেবর, বাসুর, দেবর বাসুরের সন্তান দিয়ে বহু নির্যাতন সহ্য করেছে। অনেক দেন দরবার হয়েছে, তারা ক্ষমা চেয়ে স্টাম্প করে অঙ্গীকার দিয়ে নির্যাতন করবেনা মর্মে আমার বোনকে নিয়েছে। এখন তার শশুর বাড়ি সকলে মিলে মেরেই পেলেছে। আমরা এর বিচার চাই। তার ফাঁসি চাই। থানা পুলিশ বলেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
উল্লেখ্য যে ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১ টা৩০ মিনিট এর সময় হোসনেয়ারাকে বিষ ক্রিয়া অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আাসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই সময় মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানান উপস্থিত জনতা।
Discussion about this post