গত ২০ নভেম্বর ইন্তেকাল করেছেন মসজিদে নববীর সবচেয়ে বেশি বয়সী খাদেম শায়খ আগা আবদুহু আলি ইদরিস। তার মাত্র পাঁচ দিন পরই পবিত্র মসজিদটির আরেকজন খাদেম আগা আলি বাদিও ইন্তেকাল করলেন।
রোববার ইনসাইড দ্য হারামাইন নামে একটি ভেরিফাইড এক্স একাউন্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এক্সপ্রেস নিউজ। পত্রিকাটি জানায়, এদিন আসরের নামাজের পর মসজিদে নববীতে প্রবীণ এ খাদেমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উপরোল্লিখিত ‘আগা’ শব্দটি অনারব। শব্দটি একবচন এবং এর বহুবচন ‘আগাওয়াত’। ফারসি, কুর্দি ও তুর্কি ভাষায় এর ব্যবহার রয়েছে। বাড়ি বা পরিবারের প্রধান কিংবা প্রধান সেবকসহ এর নানা অর্থ রয়েছে। তবে মক্কা ও মদিনায় বিশেষ অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত হয়। যারা পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলোর সুরক্ষাসেবায় নিযুক্ত থাকেন তাদের আগা বলা হয়।
মূলত আইয়ুবি যুগ থেকে (১১৬১ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৫৫৭ হিজরি) পবিত্র রওজা শরিফের সুরক্ষায় আগাদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তাদের বেশিরভাগ হাবশা থেকে এলেও কেউ কেউ ভারতীয় উপমহাদেশ ও ট্রান্স-অক্সানিয়া অর্থাৎ নিম্নমধ্য এশিয়া অঞ্চল থেকে এসেছেন। মসজিদে নববীতে মহানবীর পবিত্র হুজুরাসহ গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা তাদের মূল দায়িত্ব।
ইসলামী যুগে তারা সমাজে উঁচু মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। হারামাইন এলাকায় কাজ করার সুবাদে মানুষ তাদের খুবই সম্মান করত। বাদশাহ, আমিরসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ওঠাবসা ছিল।
১৩৪৬ হিজরিতে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ আগাদের নিজ নিজ দায়িত্বে বহাল রাখেন। হাজরে আসওয়াদ, রুকন, মাকামে ইবরাহিমে সুগন্ধি লাগানো, পবিত্র কাবাঘর ধোয়া, পবিত্র রওজা শরিফ পরিচ্ছন্ন রাখাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব তারা পালন করেন।