মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে খরিপ-২ মৌসুমে কৃষি প্রনোদোনা কর্মসূচীর আওতায় চলতি রোপা আমন ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর শস্য কর্তন উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের আমুয়াকান্দি গ্রামে এই সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের শস্য কর্তন উদ্বোধন করা হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা নিবার্হী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল হাসান আলামিন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার ও শাহ আল ফারুকীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বীথি রাণী দাস, গজরা ইউপি সদস্য মো. জাহিদ হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৮৮জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে আমন চাষাবাদ করা হয়। এই পদ্ধতিতে ব্রি ধান-৮৭ চাষ করে কৃষক ভাল ফলন পেয়েছে।
ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী বলেন, মানুষ বাড়লেও বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন উদ্যোগে মতলব উত্তর উপজেলায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। তিনি আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে সকলকে আহবান জানান।
ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী আরো বলেন, শ্রমিকের অভাবে দ্রুত ফসল কাটতে না পেরে অনেক সময় বিনষ্ট হয়েছে কৃষকের পরিশ্রমের ফসল। তবে এখন আর সেই দিন নেই। ধান রোপণ থেকে শুরু করে কাটা মাড়াই পর্যন্ত সব কিছুই এখন যন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। যার মাধ্যমে কৃষক দ্রুত ফসল তুলতে পারছেন অন্যদিকে চাষাবাদ খরচও সাশ্রয় হয়েছে। আর এই সুবিধা সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার। ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকের মাঝে যন্ত্রপাতি পৌঁছুনোর মাধ্যমে কৃষিতে এক নতুন দুয়ার উন্মোচন হয়েছে।