আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী মৎসজীবি লীগ নেতা আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান। এসময় আলহাজ্ব মোঃ রেদওয়ান খান বোরহান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। তৃতীয় ধাপে দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর-৩ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান আলহাজ্ব মোঃ রেদওয়ান খান বোরহান।
পরে রেদওয়ান খান বোরহানের প্রতিক্রিয়া জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। তিনি বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমি গত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন তার যোগ্য প্রার্থীকে তা দিয়েছেন। এবারও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছি এবং যাচাই-বাছাইয়ে তা বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ২৬২ চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দাখিল করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি। তিনি সহ এ আসন থেকে দাখিলকৃত সাত জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র থেকে আলহাজ্ব মোঃ রেদওয়ান খান বোরহান, ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুইয়া, জাতীয় পার্টি থেকে এডঃ মোঃ মহসীন খান, জাকের পার্টি থেকে মোঃ কাওছার মোল্লা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে আবু জাফর মোঃ মাইনুদ্দিন ও বাংলাদেশ তরিকত থেকে মোঃ মিজানুর রহমান। এদের সকলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে।