ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আজ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং শুক্রবার দিনব্যাপী ধানমন্ডির সোবহানবাগস্থ ড্যাফোডিল প্লাজার ৭১ মিলনায়তনে ‘ক্রমবর্ধমান প্রবীণ নাগরিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় করণীয়‘ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সকাল ৯-৩০ মিনিটে প্রধান অতিথি হিসেবে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় সমিতির সভাপতি জনাব শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মোঃ মমতাজউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান।
বিকেল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। কর্মশালার উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোরাম ফর দ্যা রাইটস অব দ্যা এল্ডারলী বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস (অবঃ)। বক্তব্য রাখেন অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মহাসচিব ইঞ্জি. মোঃ ফজলুল হক।
দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রবীণরা ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিম্নোক্ত ৪টি বিষয়ের উপর আলোচনা করেন।
গ্রুপ-১ঃ “প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক চাহিদা পূরণ বা সহজলভ্য করার জন্য সরকার ও সমাজের দায় ও দায়িত্ব”। এতে চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক পরমানু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম শমসের আলী।
গ্রুপ-২ঃ অবসরপ্রাপ্ত দক্ষ জনশক্তিকে জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা”। এতে চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লে. জে. এম হারুন-অর- রশিদ (অবঃ)।
গ্রুপ-৩ঃ “জাতীয় উন্নয়নে প্রবীন ও নবীণের সম্মিলিত প্রয়াসের আবশ্যিকতা ”। এতে চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন সাবেক সচিব প্রফেসর ড. জহুরুল করিম।
গ্রুপ-৪ঃ “প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রনীত জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ দ্রুত বাস্তবায়ন/ সিনিয়র সিটিজেন অ্যাক্ট প্রণয়ন” এতে চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ (এইচ আর পিবি) এর প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবীণদের বিষয়ে আন্তঃ প্রজন্মের ভাবনা ও অভিমতের উপর পরিচালিত গবেষণা ও জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিপারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, প্রবীণরা নবীনদের জন্য শিক্ষনীয় আদর্শ। তাই প্রবীণদের দায়িত্ব তরুন প্রজন্মের মাঝে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে তরুণপ্রজন্মকে সমৃদ্ধকরে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মান করা। প্রবীণদের তিনি মনের দিক থেকে নবীণ থাকার ও মনকে সতেজ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন আজ আপনারা যারা প্রবীন তারাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে এদেশকে স্বাদীন করেছিলেন। জাতি আপনাদের এ অবদান চিরদিন কৃতজ্ঞতা চিত্তে সম্রণ করবে।