গতকাল ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার ) চাঁদপুরের পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের এর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৩ স্মরণে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা সকল কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনা সভায় চাঁদপুর পূরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার এর সভাপতিত্বে- বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি- মাউশি’র মহাপরিচালক- অধ্যাপক নেহাল আহমেদ , বিশেষ অতিথি- মাউশি পরিচালক(কলেজ ও প্রসাশন ), অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী , চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ ও চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাউশি’র মহাপরিচালক- অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর আসতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন। এরপর তিনি আমাদের বাংলার প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, ইংরেজরা আমাদেরকে কেরানী বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের কথা স্বরন করিয়ে দিয়ে বলেন, যারা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন , তাদেরকে আমরা কোনোদিন ভুলবো না।
বাংলা ভাষার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আরো বলেন, আগে ভাষাকে রপ্ত করতে হবে। এসময় তিনি বাংলা ভাষার প্রতিও বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এসময় তিনি ভারতকে উল্লেখ করে বলেন, ভারত যেটা চিন্তা করে, বাংলাদেশ সেটা শেষ পর্যায়। বাংলাদেশ আমাদের পাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে আছে বলে তিনি মতবাদ ব্যাক্ত করেন।
এসময় তিনি নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন নিয়েও কথা বলেন। নতুন কারিকুলামে আমাদের দেশ পাশের দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে নতুন কারিকুলাম।
সবশেষে তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বলেন, বুদ্ধিজীবীদের অধিকাংশই ছিল শিক্ষক। তাই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তখন বুঝতে পারছে একটি জাতিকে ধ্বংশ করতে হলে আগে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংশ করতে হবে। তাই তখন বুদ্ধিজীবীদের ঘর থেকে ধরে ধরে টেনে হিচড়ে নিয়ে নির্মম নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা সকল কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।