১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস মানেই বাংলাদেশ- সার্বভৌমত্ব-গনতন্ত্র-স্বাধীনতা । বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের তুর্যধ্বনি। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে অর্জন করি স্বাধীনতা। শাসকদলের দুর্নীতি ও দুশাসন এবং গনতন্ত্রহীন বর্তমান সংকটময় মুহুর্তে বিজয়ের মাসে মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনবদ্য অবদান অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা চাঁদপুর-২ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য, তথ্য সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল হুদার জেষ্ঠ্য পুত্র চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পূর্তির কালক্রমে এর সফলতা এখনও পুরোপুরি সম্ভব হয়নি বরং দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত অনাহারে আর গুম- খুন-ধর্ষণ- দূর্নীতির থাবায় গোটা জাতি আজ গভীর সংকটে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে যেয়ে গণমানুষের অধিকার আদায়ের বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় নেত্রী,সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজও গৃহঅন্তরীণ। মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। সুদীর্ঘ ৫২ বছর একটি জাতির জন্য কম সময় নয়, কিন্তু এই সুদীর্ঘ সময়ে দেশের মানুষ যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেই বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জন নিরাপত্তা আজ ফ্যাসিবাদের কবলে ভূলুণ্ঠিত। প্রতিষ্ঠিত হয়নি মানুষের ন্যূনতম মৌলিক অধিকার।
বিজয়ের এই দিনে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা আত্মদান করেছেন, লড়াই করেছেন,সেসব বীর শহীদ সহ সকল সেনানীদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
পৃথিবীর মানচিত্রে লাল সবুজের আগামীর বাংলাদেশ হবে নবজাগরণে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ। কষ্টার্জিত এই বিজয় তাই আমাদের অস্তিত্ব, এগিয়ে যাবার প্রেরণা। ‘ফ্যাসিবাদের শৃংখল থেকে মুক্তি’ই হোক বিজয় দিবসের ভাবনা ও অঙ্গীকার।
পরিশেষে মহান বিজয় দিবসে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।