আটক চার আসামীর মধ্যে জালাল হাওলাদার ও সিদ্দিক বেপারী (১ ও ২নং আসামী) হাজতে রয়েছে। আর ৩ এবং ৪নং আসামী নান্নু চৌকিদার ও সেলিম বেপারী আটক হলেও তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপর দিকে মেয়ে হত্যার বিচারের অপেক্ষায় চোখের জল ফেলছে মারজানার অসহায় পরিবার। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুরে হাইমচরের দুর্গম চর ঈশানবালা বাজারের পাশের বিল থেকে শিশু মারজানের (৯) লাশ উদ্ধার করে তার পরিবার। তখন এই ঘটনাটি জ্বিন-ভুতের কাজ বলে চালিয়ে দেয় গ্রামের একটি মহল। তারা বলেন মারজানাকে ভুতে মেরে ফেলে রেখেছে। কিন্তু হতদরিদ্র বাবা মকসুদ হাওলাদার মেয়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে রাজি ছিলেন না।
তিনি ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি সন্দেহভাজন ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ক’জনকে আসামীর চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন ঈশানবালা গ্রামে দ্বীন ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জালাল মিয়া হাওলাদার (২১), কাদির বেপারীর ছেলে সিদ্দীক (২২) ও শফিক উল্লাহ বেপারীর ছেলে সেলিম। আদালত হাইমচর থানার ওসিকে সরাসরি মামলা রজুর আদেশ দিলে হাইমচর থানায় মামলা (নং ৪, তারিখ ১৬/০১/১৮ইং ধারা -৩০২/৩৭৬/২০১/ ৩৪/ ১০৯ দঃবিঃ) রুজু হয়। তদন্তভার দেওয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালিন এসআই সুমন মিয়াকে।
এক বছরেও মামলাটির তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি না হওয়ায় তৎকালিন পুলিশ সুপার মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করেন। আইও নিয়োগ করা হয় ডিবির তৎকালিন এসআই শামীম আহম্মদকে। এরপর এসআই শামীম বদলী সূত্রে অন্যত্র গেলে ডিবির এসআই রেজাউলকে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশের এই চৌকস অফিসার মাত্র এক মাসের মধ্যে আসামী নান্নু চৌকিদারকে গ্রেফতার করেন শরীয়তপুর থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে নান্নু সে নিজে’সহ এজাহার নামীয় আরো ৩ আসামী মারজানকে নারকীয়ভাবে ধর্ষন ও হত্যার লোমহর্ষক বিবণে দেয় এবং আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
এরপর তৎকালিন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২২ সালে গাজীপুর এসআই রেজাউল করিম মামলার অন্যতম আসামী মো. সেলিম বেপারীকে গ্রেফতার করেন। পরে আটক সেলিমকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। তবে আটকের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই আলোচিত এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডেন আটক দুই আসামী নান্নু চৌকিদার ও সেলিম বেপারী আদালতে জামিন নিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান।
বর্তমানে এ মামলার ১ ও ২নং আসামী জালাল হাওলাদার ও সিদ্দিক বেপারী (১ ও ২নং আসামী) হাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে মারজানার হতভাগা পিতা মোকশেদ হাওলাদার বলেন, ‘ওরা আমার লেদা মাইয়াডারে খারাপ কাজ মাইরা ফালাইছে। ৬ বছরেও আমি বিচার পাইলাম না। আমি আমার মাইয়ার বিচারের জন্য ডিসি/এসপি এবং জজ সাহেবদের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ উল্লেখ: মোকশেদ হাওলাদারের ১ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে মারজানা। সে স্থানীয় চর কোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকেলে মারজানার মা বাজারের ব্যাগ দিয়ে তাকে বাবার দোকানে পাঠায়। বাজারে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা মারজানের মুখ চেপে রাস্তায় পাশে নাসির সর্দারের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মামলার কয়েক মাস পর আদালতের নির্দেশে মারজানার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। এই ঘটনায় চাঁদপুরের তৎকালিন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মারজানার পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। ওই সময়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন অপরাধী যে হোক না কেনো দোষী প্রমানিত হলে তাদের শাস্তি পেতে হবেই।
আটক চার আসামীর মধ্যে জালাল হাওলাদার ও সিদ্দিক বেপারী (১ ও ২নং আসামী) হাজতে রয়েছে। আর ৩ এবং ৪নং আসামী নান্নু চৌকিদার ও সেলিম বেপারী আটক হলেও তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপর দিকে মেয়ে হত্যার বিচারের অপেক্ষায় চোখের জল ফেলছে মারজানার অসহায় পরিবার। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুরে হাইমচরের দুর্গম চর ঈশানবালা বাজারের পাশের বিল থেকে শিশু মারজানের (৯) লাশ উদ্ধার করে তার পরিবার। তখন এই ঘটনাটি জ্বিন-ভুতের কাজ বলে চালিয়ে দেয় গ্রামের একটি মহল। তারা বলেন মারজানাকে ভুতে মেরে ফেলে রেখেছে। কিন্তু হতদরিদ্র বাবা মকসুদ হাওলাদার মেয়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে রাজি ছিলেন না।
তিনি ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি সন্দেহভাজন ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ক’জনকে আসামীর চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন ঈশানবালা গ্রামে দ্বীন ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জালাল মিয়া হাওলাদার (২১), কাদির বেপারীর ছেলে সিদ্দীক (২২) ও শফিক উল্লাহ বেপারীর ছেলে সেলিম। আদালত হাইমচর থানার ওসিকে সরাসরি মামলা রজুর আদেশ দিলে হাইমচর থানায় মামলা (নং ৪, তারিখ ১৬/০১/১৮ইং ধারা -৩০২/৩৭৬/২০১/ ৩৪/ ১০৯ দঃবিঃ) রুজু হয়। তদন্তভার দেওয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালিন এসআই সুমন মিয়াকে।
এক বছরেও মামলাটির তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি না হওয়ায় তৎকালিন পুলিশ সুপার মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করেন। আইও নিয়োগ করা হয় ডিবির তৎকালিন এসআই শামীম আহম্মদকে। এরপর এসআই শামীম বদলী সূত্রে অন্যত্র গেলে ডিবির এসআই রেজাউলকে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশের এই চৌকস অফিসার মাত্র এক মাসের মধ্যে আসামী নান্নু চৌকিদারকে গ্রেফতার করেন শরীয়তপুর থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে নান্নু সে নিজে’সহ এজাহার নামীয় আরো ৩ আসামী মারজানকে নারকীয়ভাবে ধর্ষন ও হত্যার লোমহর্ষক বিবণে দেয় এবং আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
এরপর তৎকালিন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২২ সালে গাজীপুর এসআই রেজাউল করিম মামলার অন্যতম আসামী মো. সেলিম বেপারীকে গ্রেফতার করেন। পরে আটক সেলিমকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। তবে আটকের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই আলোচিত এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডেন আটক দুই আসামী নান্নু চৌকিদার ও সেলিম বেপারী আদালতে জামিন নিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান।
বর্তমানে এ মামলার ১ ও ২নং আসামী জালাল হাওলাদার ও সিদ্দিক বেপারী (১ ও ২নং আসামী) হাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে মারজানার হতভাগা পিতা মোকশেদ হাওলাদার বলেন, ‘ওরা আমার লেদা মাইয়াডারে খারাপ কাজ মাইরা ফালাইছে। ৬ বছরেও আমি বিচার পাইলাম না। আমি আমার মাইয়ার বিচারের জন্য ডিসি/এসপি এবং জজ সাহেবদের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ উল্লেখ: মোকশেদ হাওলাদারের ১ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে মারজানা। সে স্থানীয় চর কোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকেলে মারজানার মা বাজারের ব্যাগ দিয়ে তাকে বাবার দোকানে পাঠায়। বাজারে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা মারজানের মুখ চেপে রাস্তায় পাশে নাসির সর্দারের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মামলার কয়েক মাস পর আদালতের নির্দেশে মারজানার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। এই ঘটনায় চাঁদপুরের তৎকালিন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মারজানার পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। ওই সময়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন অপরাধী যে হোক না কেনো দোষী প্রমানিত হলে তাদের শাস্তি পেতে হবেই।