কৃষি নির্ভর চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনার চরে কৃষকের মাঠে দুলছে নানা ধরণের শাক-সবজি। এসব সবজির পাশাপাশি নতুন করে চাষ করা হয়েছে স্কোয়াশ। অতি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই স্কোয়াশ আবাদে লাভবান হচ্ছে এ জেলার কৃষকরা।
উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় স্কয়াশ ক্ষেতের রঙিন দৃশ্য। নতুন এ ফসল থেকে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
জানা যায়, স্কোয়াশ একটি শীতকালী সবজি। দেখতে মিষ্টি কুমড়ার মতো হলেও এটি লম্বা হয়। অধিক পুষ্টি সম্মৃদ্ধ ও মুখরোচক এ স্কোয়াশ অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে বাজারে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। এটি চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি বেশ উপযুক্ত। এসব মাটিতে অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব। শীতকালীন এই আবাদ থেকে ভালো ফলন পেতে জমি গভীরভাবে চাষ করার পর মই দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। পরিকল্পনা মাফিক চাষ করা হলে ১০০ দিনের মধ্যে প্রতি হেক্টরে ৩৫-৪০ টন উৎপান করা সম্ভব।
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল গ্রামের কৃষক হান্নান সরকার জানান, চলতি রবি মৌসুমে পরীক্ষামূলক নতুন করে ২ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন। এতে বীজ-সার-শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে ৪৮ হাজার টাকা। আরও প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করবেন।
তিনি আরও বলেন, সবজি ফসলের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল স্কোয়াশ। কৃষি বিভাগ কর্তৃক সঠিক পরামর্শ পেলে আগামী বছর পাঁচ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
কৃষিবিদ মজিবুর রহমান জানান, স্কোয়াশের উচ্চ ফলনশীন কয়েকটি জাত রয়েছে। এর মধ্যে বারি স্কোয়াস-১ জাতটি খুবই ভালো। কৃষকরা এই স্কোয়াশ চাষে অনেকটাই লাভবান হতে পারবে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, মতলব উত্তর উপজেলা মেঘনা নদীর চরে কৃষক হান্নান সরকার স্কোয়াশ চাষ করেছে। আমরা কৃষি দপ্তর থেকে সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এসব কৃষকদের লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।