অদ্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ও র্যাব-১, সদর কোম্পানী এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএপি ঢাকার বিমানবন্দর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ হত্যার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ জাকির হোসেন (৪০), পিতা-মৃত মোস্তফা মিয়া, সাং-পূর্ব আমানী, থানা-চন্দ্রগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মামুন কলেজে পড়াকালীন সময়ে ছাত্ররাজনীতি ও সমাজ সেবামূলক কাজের সাথে লিপ্ত হয়ে পড়েন। উক্ত কর্মকান্ডের ফলে ভিকটিমের সাথে স্থানীয় কুখ্যাত জিসান বাহিনীর দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। ইতিপূর্বেও জিসান বাহিনীর সদস্যরা ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এরই মধ্যে জিসান বাহিনীর প্রধান সোলাইমান উদ্দিন জিসান মারা গেলে জিসানের ছোট ভাই মোঃ তুহিন জিসান বাহিনীর কর্মকান্ড পরিচালনা করতে থাকে।
পরবর্তীতে ভিকটিমসহ জনৈক ব্যক্তি জিসান বাহিনীর অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে জিসান বাহিনীর প্রধান মোঃ তুহিন ভিকটিমকে টার্গেট করে এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই সূত্র ধরে গত ১৮ মে ২০১৫ তারিখে রাত আনুমানিক ০৯:৩০ ঘটিকায় ভিকটিম মামুন মোটরসাইকেল যোগে বাজার হতে আসার সময় পথিমধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত আসামী ও অন্য আসামীরা ভিকটিমের পথরোধ করে ভিকটিমের মাথায়, পেটে ও বুকে এলোপাতাড়ী গুলি চালিয়ে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জাকির হোসেন দীর্ঘদিন দেশে ও বিদেশে পলাতক অবস্থায় আত্নগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে ০৫ মাস আত্নগোপনে থাকার পর বিদেশ (কাতারে) থেকে দেশে আসা মাত্রই র্যাব-১১, সিপিসি-২ ও র্যাব-১, ব্যাটালিয়ন সদর একটি যৌথ আভিযানিক দল উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।