ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্যোগে বিশ্ব কিডনি দিবসে শোভাযাত্রা
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টার চাঁদপুর শাখার আয়োজনে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয় ।
সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য চিকিৎসায় সমঅধিকার এ স্লোগানে ও প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, সুস্থ কিডনি সবার জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ন্যায়সংগত সেবার সমান সুযোগ আর নিরাপদ ও সর্বোত্তম ওষুধের অনুশীলন।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগী, ভেজাল খাদ্য গ্রহণ, ধুমপান, সেই সঙ্গে ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ঔষধ সেবনের কারণে কিডনি রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসা ও ঔষধের মাধ্যমে কিডনিকে আগের অবস্থায় আনা সম্ভব। এতে খরচ কম পড়ে। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর উপসর্গ দেখা দেয়। কিডনি যদি অকেজো হয়ে যায় তাহলে কিডনি প্রতিস্থাপন ও ডায়ালিসি ছাড়া বাঁচার উপায় থাকে না। কিন্তু এই দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
আরো বলেন, কিডনি রোগ একটি নিরব ঘাতক। বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটিরও বেশির ভাগ মানুষ কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকল হয়ে প্রতি ঘন্টায় অকালে মৃত্যুবরণ পাঁচ জন লোক। সাধারণত ৭৫ ভাগ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে রোগীরা বুঝতে পারে না যে, সে ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত। তখন বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় কিডনি সংযোজন অথবা ডায়ালাইসিস। আর এই চিকিৎসা এতোটা ব্যায়বহুল। দেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষের সাধ্য নেই এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাবার। পক্ষান্তরে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ধারা চর্চার মাধ্যমে ৫০-৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি প্রতিরোধ সম্ভব।
চাঁদপুর ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় শোভাযাত্রা পূর্বক উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, ক্যাম্পস চাঁদপুর শাখার মেডিকেল অফিসার ডাঃ শারমিন আলম। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, ক্যাম্পস চাঁদপুর শাখার সুপারভাইজার ও ডায়ালাইসিস টেকনিশিয়ান মোঃ আফজাল হোসেন বিপুল।