চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুরের পাইকদী মোল্লা বাড়ির মোঃ নজরুল ইসলাম এর কন্যা শায়লা আক্তার বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্বামীর নগদ টাকা ও গয়নাঘাটি নিয়ে প্রেমিকের হাত সাথে পালিয়ে যান বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী থেকে জানা যায় মোঃ নজরুল ইসলাম এর কন্যা শায়লা আক্তার এর সঙ্গে মহামায়া বাজার সংলগ্ন এক প্রবাসীর সাথে চলতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিবাহ হয়। তবে এই বিবাহে মেয়ের মত ছিলনা বলে জানান মেয়ের কিছু নিকটস্থ লোক জনও। মেয়ের সাথে এক হুজুরের প্রেম ছিল। মেয়ের প্রেমিক আর্থিক ভাবে গরিব হওয়ায় জেনে তার অভিভাবক লোভেপরে জোরপূর্বক প্রবাসী ছেলের সাথে বিয়েতে বাধ্য করে। মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করে ২৮ ফেব্রুয়ারি শশুড় বাড়ি থেকে স্বামীর অগোচরে লক্ষাদিক টাকা, বিয়েতে দেওয়া গলার হাড়, কানের দুল, হাতের ভালা, ৪ টি আংটি সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে বাপে বাড়ি আসে। ঐ দিনই বাপের বাড়ি থেকে মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়ের বাপের কাছ থেকে তাদের মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছেনা সংবাদ শুনে শশুর বাড়ি লোকজন তাদের বউ এর খোঁজ নিতে আসলে মেয়ের বাপ নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বলেন তাদের মেয়ে নাকি রাগ করে বেড়াতে গেছে। খোঁজার জন্য ৩ দিন সময়ের অনুরোধ করে তারা। তিন দিন গত হলে তারা জানান তাদের মেয়ে নাকি সংসার করবে না। স্থানীয় ইপি সদস্য ও স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল মিজি মেয়েকে উপস্থিত করার জন্য আরো তিন দিনের সময় নেন।
তিন দিনের ফাঁকেই সমস্যাটি সমাধানের নামে স্থানীয় কামাল মিজি প্রবাসী স্বামীর এক নিকটস্থ কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। সমাধানের নামে তারা বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ধান্ধায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই দিকে প্রবাসী ছেলে তার স্ত্রী, তার কষ্টে অর্জিত টাকা পয়সা ও গয়নাঘাটি হারিয়ে পাগল প্রায়। বিয়ের ৮ দিনের মাথায় তার স্ত্রী চলে যাওয়া বিষয়টি কিছুতেই মানতে পারছে না স্বামী।
এলাকার জামাই কামাল মিজি বলেন মেয়ের বাবা আমাকে বিষয়টি সমাধান করার জন্য ধরেছে। তবে তাদের মেয়ে না আসাতে সমাধান করতে কষ্ট হচ্ছে।মেয়ের বাবা কাবিনের হকের কথা বলাতে আমি ১ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিয়েছি ছেলের পক্ষকে।
এইধিকে শায়লা’র পিতা নজরুল ইসলাম বলেন আমার অভিভাবক হল কামাল মিজি। কামাল মিজি’র পরামর্শে আমি সব কাজ করতেছি। আপনাদের কোন কিছু জানার থাকলে কামাল মিজি’র কাছে জেনে নিন।
এই দিকে এই বিষয়ে এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে। এলাকার সচেতন মহলের একটাই কথা মেয়ের পরিবার কি করে জেনে শুনে একটা ছেলের জীবন শেষ করেছে। এর জন্য মেয়ের পরিবারের কঠিন বিচার হওয়া উচিত। কারন তাদের দেখা দেখি আরো ১০ টি মেয়ে খারাপ হবে, ১০ টা ছেলের জীবন নষ্ট হবে। আর এখন এই আকামটা দামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে নজরুল ও তার পরিবারের লোকজন।