ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ পন্থায় হাজার হাজার বস্তা চিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। পাচারকারী চক্ররা ভারতীয় চিনি ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। তেমনি কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রতিদিন গাড়ি বোঝাই করে চিনি চাঁদপুরে গভীর রাতে এনে বিক্রি করছে। পাচারকারী চক্ররা প্রশাসনের কিছু অসাধকর্মকর্তাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভারতীয় অবৈধ চিনি বাজারে বিক্রি করছে। তেমনি চাঁদপুর পালবাজার নূরে আল মদিনা দোকান মালিক সাদ্দাম ও তার ভাই রিপন কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এক ট্রাক চিনি চাঁদপুরে দিয়ে আসে। অবশেষে শহরের নতুন বাজার লন্ডন ঘাট সিএইচডি গোডাউনের সামনে রাস্তার পাশে গাড়িটি রেখে ড্রাইভার পালিয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী সেই ট্রাক বোঝাই চিনি ধরে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চাঁদপুরের মডেল থানার পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। এরপরেই পাচারকারী চক্রের মূল হোতা পালবাজারের নুরে আল-মদিনার মালিক সাদ্দাম ও তার ভাই রিপন চিনির গাড়িটি ছারিয়ে নেওয়ার জন্য তদবির করতে শুরু করে।
সেই পাচারকারী চক্ররা কুমিল্লা থেকে ওয়াকশনে ভুয়া ফটোকপি কাগজ এনে পুলিশকে দেখিয়ে ধোকা দিয়ে সেই চিনি বোঝাই ট্রাকটি থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এর পূর্বেও এই পাচারকারী চক্র সাদ্দাম ও তার ভাই রিপন কুমিল্লা থেকে বেশ কয়েকটি চিনির গাড়ি এনে চাঁদপুরে বিক্রি করেছে। তাদের মতো করে পুরান বাজারের চোরা কারবারি ফজল প্রধানিয়া, ও বাবুরহাটের কয়েকজন পাচারকারী প্রতিদিন ভারতীয় চিনি এনে চাঁদপুরে বিক্রি করছে।
পুরান বাজারের ফজল প্রধানিয়া ৪ গাড়ি ভারতীয় চিনি চাঁদপুরে আনার সময় এক ট্রাক চিনি হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জব্দ করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে আলাপ করে সেখান থেকে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে এসে পুরান বাজার গোডাউনে আনলোড করে।
এভাবেই পাচারকারী চক্ররা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখে অবৈধ ভারতীয় চিনি এনে বিক্রি করছে।
এই ঘটনায় পাচারকারী সাদ্দাম ও রিপন জানান, কুমিল্লার কয়েকজন পার্টি চাঁদপুরে এই ভারতে চিনি বিক্রি করেন। সবার সাথে যোগাযোগ করে চাঁদপুরের চিনি আনা হচ্ছে।
ট্রাক বোঝাই চিনির গাড়িটি পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর ওয়াকসনের কাগজ দেখিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিনিয়ত ভারতীয় চিনি বোঝাই ট্রাক চাঁদপুরে এনে বিক্রি করার কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এতে করে দেশীয় চিনির বাজারে ধ্বস নেমেছে। তাই এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান।