ডা.দীপু মনি এম.পির আন্তরিকতায় নুর হোসেন পাটওয়ারীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে গেছে একসময়ের অবহেলিত হাইমচর উপজেলা। একযুগ আগেও এই এলাকার মানুষ অস্তিত্বহীনতায় ভুগতো।সর্বনাশা মেঘনার ভাঙনের ফলে সর্বস্ব হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।অনেকেই ছেড়েছেন এই জনপদ।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভের পর ডা.দীপু মনি এম.পি সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। সাথে থেকে উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করেছেন হাইমচর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব নুর হোসেন পাটওয়ারী। শুধু প্রতিশ্রুতি রক্ষা নয়, তিনি সেদিন রক্ষা করেছিলেন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার উপক্রম, এমন একটি ভুখন্ড। তিনি রক্ষা করেছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষের বুকের মাঝে জিইয়ে রাখা স্বপ্ন।
নদী শাসন করে অর্থাৎ স্থায়ীবাঁধ নির্মান করে এই জনপদকে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করেন।সেই থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি হাইমচরবাসীকে। নদী শাসনের পুর্বে সমগ্র উপজেলা খুঁজেও পাঁকাবাড়ি(বিল্ডিং) পাওয়া কষ্টসাধ্য ছিলো। অথচ কয়েকবছরের ব্যবধানে সেই জনপদেই আজ নদীর তীর ঘেঁষে নির্মাণ হচ্ছে পাঁকাদালান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার নিমিত্তে কিছুদিনের মধ্যেই হবে রিভার ড্রাইভসহ নানারকম উন্নয়ন স্থাপনা।
যেদিকে তাকাই চোখে পড়ে পাঁকা সড়ক,ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও স্ট্রিট লাইট।অন্ধকার নামার সাথে সাথেই পুরো এলাকা হয়ে যায় আলোকিত। গত কয়েকদিন,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কসহ প্রতিটি বাড়ির আশাপাশের সকল রাস্তা আর সিসি ডালাই দেয়া হয়েছে। সড়কের পাশে কিছু কিছু জায়গায় রয়েছে গাইড ওয়াল,পুল ও কালভার্ট।আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে নির্মাণধীন রয়েছে আধুনিক হাসপাতাল।
তাছাড়া, শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন,শতভাগ (বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা,প্রতিবন্ধীভাতা,মাতৃ ত্বকালীন ভাতা),ধর্মীয় প্রতিস্টান,বিভিন্ন পুকুরে গনঘাটলা ও গনশৌচাঘারসহ সন্তানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী বলেন,হাইমচরের মানুষ তাদের সেবা করার জন্য ডা.দীপু মনি এম.পিকে এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমাকে নির্বাচিত করেছেন,তাই তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার কোন প্রধান সড়ক আর কাঁচা নেই।জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, ডা.দীপু মনি এম.পির সহযোগিতা নিয়ে সকল সড়কের পাঁকাকরন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা প্রতিটি বাড়ির প্রবেশের রাস্তাও পাঁকা করে দিবো,যাতে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের সকল সুযোগ সুবিধা প্রতিটি মানুষের দৌঁড়গড়ায় পৌঁছায়।কেউ যাতে সেবা হতে বঞ্চিত না হয়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত পর্যটনকেন্দ্র এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠার সাথে সাথে হাইমচরের মানুষের জীবনমান ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত এবং উন্নত সমৃদ্ধ জীবনযাপনের সকল সুবিধা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
উত্তর আলগী ৫নং ওয়ার্ডের রহিম খান বলেন, আমরা ডা.দীপু মনি এবং নুর হোসেন পাটওয়ারীকে আমাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছি।তারা আমাদের ভোটের মর্যাদা রেখেছেন। হাইমচরে এত উন্নয়ন হবে এটা আমরা কখনো কল্পনা করি নাই। তাদের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে আজ হাইমচর উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা আশা করি তাদের দুরদর্শিতার মাধ্যমে হাইমচর বাংলাদেশের প্রথম সারির উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ইনশাআল্লাহ।