মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম চার শহীদ কালাম-খালেক-সুশীল-সংকর। ১৯৭১ সালে ৩ এপ্রিল যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বোমা প্রস্তুত প্রাক্কালে বিস্ফোরিত হয় তারা শহীদ হন। এদিন সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে শহীদদের ‘মুক্তিসৌধ’ স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ কালাম-খালেক-সুশীল-সংকর স্মৃতি সংসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ( মার্কসবাদী), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা স্মৃতি সংসদের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন বাবরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ মার্কসবাদী চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা অজিত কুমার সাহা, বীরমুক্তিযোদ্ধা সরদার আবুল বাসার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড জাহাঙ্গীর হোসেন, শহীদ কালাম-খালেক-সুশীল-সংকর স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও মো. হেলাল উদ্দিন , উদীচীর সংগীত বিষয়ক সম্পাদক প্রশিকা সরকার।
এ সময় বক্তারা বলেন, চাঁদপুরের গর্ব প্রথম চার শহীদ কালাম-খালেক-সুশীল-সংকর। চাঁদপুরকে শত্রুমুক্ত করতে এ চার শহীদের পদক্ষেপ ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা। ৩ এপ্রিল তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বোমা বানাতে গিয়ে তারা তাৎক্ষণিক বোমা বিস্ফোরণে শহীদ হন। এদিনটিকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী সকলের যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা উচিৎ। অথচ প্রশাসনের কোন ভূমিকাই নেই। প্রশাসন যেন নির্বিকার। শুধু তাই নয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরও কোন রকম ভূমিকা নেই। যা নির্বাক করে, হতবাক করে। এভাবে চলতে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হতে থাকবে।
বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে শহীদ কালাম-খালেক-সুশীল-সংকরকে স্মরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সর্বৈব প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে একীভূত করতে হবে।