চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে হাইমচরবাসীকে। আর কতবার যে বিদ্যুৎ যায় আর আসে তার কোন হিসেব নেই।
সরকার পবিত্র মাহে রমজান মাসে যেন লোডশেডিং না দেয়া হয় এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে সে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্ত রমজানের ১৫ রোজা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল থাকলেও তার পর থেকে গত সপ্তাহ খানেক যাবৎ লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয় রোজাদারগণ।লোডশেডিং এর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন মসজিদের পানির ট্যাংকিগুলোতে পানি না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদেরকে। ওজুখানায় পানি না না থাকায় অধিকাংশ মুসল্লিগণ জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারছেন না।এছাড়া ইফতারির সময়, তারাবি নামাজের সময় ও সাহরি খাওয়ার সময় ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়ায় মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এদিকে লোডশেডিং এর কারনে ঈদ পূব মুহূর্তে বিপনী বিতানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসা নারী পুরুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গত কয়েকদিনের পল্লী বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজি নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা লিখছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
জাহিদ হাসান নামে এক যুবক বলেন,বর্তমান সরকার আমলে বিদ্যুৎ স্বয়ং সম্পূর্ণ হলে এতো লোডশেডিং কেন?
কাজী মিনিহাজ লিখেছেন, ঘুমাতে যাওয়ার সময় ও ঘুম থেকে উঠেও দেখি বিদ্যুৎ নেই।তাহলে থাকে কখন?
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ হাইমচর সাবজনাল অফিসের এজিএম হাফিজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত গরম পরলে লোডশেডিং বেড়ে যায়, তেত্রিশ কেবি লাইনে সমস্যা হওয়ায় দুই দিন রাতে লোডশেডিং বেশি ছিল। আগামী দুইদিন গাছ কাটার কারণে হয়তো বা লোডশেডিং থাকতে পারে। এরপর থেকে আশা করা যায় আর তেমন একটা লোডশেডিং হবে না। এরপরও যখন অতিরিক্ত লোডশেডিং হয় তখন আমাকে জানালে সাথে সাথেই আমি ব্যবস্থা নিব।