ইসফাহান নগরীতে হামলার ঘটনাটিকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে ইরান এর জবাব দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইরানের নগরীতে শুক্রবার বিস্ফোরণের শব্দের পর বিভিন্ন সূত্র একে ইসরায়েলের হামলা বলে বর্ণনা করে। তবে ইরান ঘটনাটিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। এর পাল্টা জবাব দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
ইরানে সীমিত আকারের ওই ইসরায়েলি হামলা এবং ইরানের শান্ত প্রতিক্রিয়া দুই দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ এড়াতে কূটনীতিকদের দিন-রাত কাজ করে যাওয়ার চেষ্টায় সফলতারই লক্ষণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
ইসরায়েল শুক্রবার ভোরে ইরানের ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে সিবিএস নিউজকে জানান দুই মার্কিন কর্মকর্তা।
তবে ইরানের গণমাধ্যম এবং কর্মকর্তারা জানান, ছোট কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে।ইসফাহান নগরীতে ইরান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তিনটি ড্রোনে আঘাত হানার কারণে ঘটেছে এই বিস্ফোরণ।
ইরান এই হামলাকে ইসরায়েল নয়, বরং ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ হামলা বলে বর্ণনা করেছে, যার পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে দেশটি।
ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “ওই ঘটনার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাবের কোনও পরিকল্পনা নেই।”
তিনি বলেন, “ঘটনাটির খবর জানানো বিদেশি সূত্রটি নিশ্চিত নয়। আমাদের এখানে বাইরে থেকে কোনও হামলা হয়নি। তাছাড়া হামলা নয়, বরং অনুপ্রবেশ নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি।”
যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিংকট্যাংকের মধ্যপ্রাচ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বিষয়ক প্রধান জোনাথন লর্ড বলেছেন, ইরান যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, তারা হামলার প্রভাব কম করে দেখানোর চেষ্টা করছে কিংবা হয়ত উত্তেজনা যাতে না বাড়ে সেজন্য পিছু হটছে।
ওদিকে, ইরানের ইসফাহানে হামলার বিষয়ে ইসরায়েল কিছু বলেনি। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর থেকে দেশটি পাল্টা জবাব দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলে আসছিল।
শনিবার ইরান ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলে। তার পরেই প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েকজন কূটনীতিক এবং সামরিক কমান্ডার। এর জবাব দিতেই গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইরানের।