যে যাত্রীদের বসার জন্যে তৈরি করা হয়েছে যাত্রী ছাউনি সেই যাত্রীদের বসার স্থানটুকুই সার্টার লাগিয়ে হয়ে গেলো দোকানঘর। দিনে দুপুরে এহেন কাণ্ডে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
হাজীগঞ্জের বাকিলা পশ্চিম বাজারে নতুন যাত্রী ছাউনির এমন পরিবর্তন গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা যায়। তবে কে বা কারা এটা করেছে তা স্বীকার করেননি সার্টার লাগানো মিস্ত্রি নজরুল ইসলাম।
সরজমিনে দেখা যায, হাজীগঞ্জের বাকিলা পশ্চিম বাজারে দুটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। এর মধ্যে পুরানো ছাউনির দুই রুমের একটি রুমে দোকান (চলমান), অপর রুমটি যাত্রী ছাউনি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। পুরানোটির পশ্চিমে গেলো বছরে নতুন করা ৫ রুমের ৪টিতে চলমান দোকানঘর, মাঝের একটি রুমকে যাত্রী ছাউনি করা আছে। এমনকি যাত্রীদের বিশ্রামের জন্যে তিন দিকে পাকা করে তাতে টাইলস বসানো রয়েছে। এ রুমটির ফ্লোর টাইলস্ করাসহ পিছনে একটি বড় গ্রিলের জানালা রয়েছে। রুমটির সামনে সার্টার বক্সের উপরে বড় করে যাত্রী ছাউনি লিখা রয়েছে।
অবশ্য লিখাটিতে শ্যাওলা পড়েছে কিছুটা। এই যাত্রী ছাউনির রুমটির সামনে গত শুক্রবার দুই পার্টের সার্টারসহ সার্টার বক্স লাগিয়ে দোকান ঘর তৈরি করে তাতে তালা মেরে রাখা হয়েছে। দুটো যাত্রী ছাউনির জমি সড়ক বিভাগ চাঁদপুরের আর ছাউনিগুলোর নির্মাণকারী ও অর্থায়নকারী জেলা পরিষদ চাঁদপুর।
যাত্রী ছাউনির ভাড়াটিয়া স্বর্ণকার দীপক, বিকাশ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন কালু ও স্যালুন ব্যবসায়ী কার্তিক শীল জানান, যে মিস্ত্রী কাজ করেছে তার কাছে অনেকে জানতে চেয়েছে কে বা কারা কাজ করছে কিন্তু মিস্ত্রী নজরুল কোনো উত্তর দেননি।
‘যাত্রীদের জন্যে নির্মিত যাত্রী ছাউনি দিনের বেলা হয়ে গেলো দোকানঘর। এটা কিভাবে সম্ভব বা কোন্ নিয়মে হয়েছে?’ এমন বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় জেলা পরিষদ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা সদস্য আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেনের সাথে। এ সময় তিনি জানান, বাকিলার যাত্রী ছাউনিতে সার্টার লাগানো হয়েছে এমন বিষয়টির সত্যতা জানতে শুক্রবার বিকেলে আমি বাকিলা যাই। গিয়ে এর সত্যতা পাই, তবে এটি কে বা কারা করেছে তা খবর নিচ্ছি।
এ বিষয়ে সওজ চাঁদপুরের এসএই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এমন কিছু হলে আমরা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, যাত্রী ছাউনিতে দোকান করার কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রতি আমরা যাত্রী ছাউনিগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। কেউ যাত্রী ছাউনি দখলে নিলে তা ভেঙ্গে আমরা মেরামতের কাজ করবো।