চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ । চলতি বছরে দিনাজপুর বোর্ডে পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৪৩ ভাগ শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৭৬ দশমিক ৮৭ ভাগ। চলতি বছরে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১০৫ জন। গত বছর পেয়েছিল ১৭ হাজার ৪১০ জন।
এ বছর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে আটটি জেলার ২ হাজার ৭৩০টি বিদ্যালয়ের মোট ২ লাখ ৪৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৫ জন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর স. ম. আব্দুস সামাদ আজদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের সংখ্যা ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও বেশি । ছাত্রীদের পাসের হার ৮১ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ । জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ২৪৬ ছাত্রী। আর ৮ হাজার ৮৫৯ ছাত্রজিপিএ-৫ পেয়েছে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬ ।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪টি। ৭৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে। ২৭৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার ৭৩০টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ২২১ জন। অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ছিল ৯৪১ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পাসের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪৪ জন ।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে । তবে আমাদের আরও ভালো ফলাফল প্রত্যাশা ছিল। কিছু ছাত্র-ছাত্রী গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে ফলাফল ভালো করতে পারেনি। আমাদের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এ বছর যে সকল বিদ্যালয়ের পাসের হার শূন্যের কোঠায় তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রাণালয় যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে । এ সকল বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হবে । ওই সব বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ থেকে ১৪ জনের মধ্যে।