মতলব উত্তরের গজরা ইউনিয়নের এক নারীকে বিয়ের পর স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঞ্ছারামপুর থানার ধারিয়ারচর বাজারের মালেক মিয়ার ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
ভূক্তভোগী নারীর সাথে শাহআলমের পরিচয় হয় ঢাকা মিরপুরে সেখানে এই নারী পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন।
দীর্ঘ ৪বছরের সম্পর্ক স্থায়ী রুপ দিতে ৯ অক্টোবর ২০২২ সালে চাঁদপুর কোর্টে ৫লক্ষ টাকা কাবিনে কয়েকজন সাক্ষী গনের সামনে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা, পরে শাহআলম বিয়ের কাবিন নামায় দেশে এসে স্বাক্ষর করে। বিয়ের পর একসাথে থেকেছেন দীর্ঘদিন, এসময়ে ওই নারীর বেবী কনসেপ্ট করে এবং শাহআলম ভালবাসার দোহাই দিয়ে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে।
বিয়ের কিছুদিন পরে শাহআলম জীবিকা নির্বাহের জন্য পারি জমায় সৌদি আবর। সৌদি আরব যাওয়ার কয়েকদিন পর মতলবের সেই নারীকে পোশাক শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দিয়ে সৌদি আবর আসার কথা বলেন।
স্বামী শাহআলমের কথা মত কাজ ছেড়ে বাড়ীতে চলে আসেন সেই নারী। তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো।
একপর্যায়ে শাহআলমের কথায় ভুক্তভোগী নারী সৌদি আরব যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
৫ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ভুক্তভোগী নারী সৌদি আরব যায় হাউজ ক্লিপিন ভিসায়। তারপর তার প্রতারক স্বামী শাহআলমের সাথে দেখা হয় রিয়াদ এয়ারপোর্টে।
প্রতারক শাহআলম ও ভুক্তভোগী নারী সৌদি আরবে কাছাকাছি এলাকায় থাকতো, তাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলতো, প্রতিমাসে কয়েক বার দেখা হতো।
এভাবে কেটে যায় ১৫মাস, প্রতিমাসে ১থেকে ৫তারিখের মধ্যে বেতন পায় ভুক্তভোগী নারী। প্রতিমাসে শাহআলম এসে টাকা নিয়ে যেত নানান বাহানার কথা বলে।
হঠাৎ কিছু না বলেই শাহআলম বাংলাদেশ চলে আসে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে শাহআলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুমির সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয় কিন্তু বিয়ে সাধি, ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ এগুলো মিথ্যা কথা।