ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সব কার্যক্রম দুইদিন বন্ধ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আবারও সচল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে জাহাজে পণ্য ওঠানামা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টা থেকে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পরপর পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
মো. ওমর ফারুক জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটলেও এখনও সাগর উত্তাল। তাই গত (সোমবার) জাহাজ ভেড়ানো যায়নি। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ১৯টি জাহাজের মধ্যে ১০টি জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। পণ্য ওঠানামার কাজ একটু আগেই শুরু হয়েছে। বাকি ৯টি জাহাজ বহির্নোঙ্গর থেকে রওনা দিয়েছে।’
পণ্য খালাস বন্ধ করে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো ৪৯টি খোলা পণ্যবাহী জাহাজও বহির্নোঙ্গরে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কমে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ফেরত আনার উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় পাইলটরা গিয়েও বহির্নোঙ্গর থেকে জাহাজ আনতে পারেননি। জাহাজ আসতে না পারলেও দুপুরে ইয়ার্ডে অপারেশন আংশিকভাবে শুরু হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (২৫ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর ৬ নম্বর বিপদসংকেত জারির পর নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ অর্থাৎ বিপদ সংকেত জারি করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর বন্দর তাদের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-ফোর’ জারি করে। বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানো-নামানো এবং মূল জেটিতে পণ্য ও কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।