খাবার ও ওষুধের মানের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো খুঁতখুঁতে। সেই পশ্চিমা দেশেই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে বিস্কুট, পাস্তা, নুডলসসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার বা ড্রাই ফুড।
যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারের শুকনা খাবার রপ্তানি করেছেন, এ দেশের মুদ্রায় যা প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। পরিমাণ আড়াই কোটি ডলারের (২৭৫ কোটি টাকা) কাছাকাছি।
বৈশ্বিক খাদ্যের বাজারে এখনো বাংলাদেশের কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে। উৎসাহের দিক হলো, বড় বড় বাজারে কিছুটা অবস্থান তৈরি করছেন এ দেশের রপ্তানিকারকেরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বছরে ২০ কোটি ডলারের (২ হাজার ২০০ কোটি টাকা) শুকনা খাবার রপ্তানি করছে। দেশের সার্বিক রপ্তানি আয়ের তুলনায় সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তা বড়।
খাবার ও ওষুধের মানের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো খুঁতখুঁতে। সেই পশ্চিমা দেশেই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে বিস্কুট, পাস্তা, নুডলসসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার বা ড্রাই ফুড।
যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারের শুকনা খাবার রপ্তানি করেছেন, এ দেশের মুদ্রায় যা প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। পরিমাণ আড়াই কোটি ডলারের (২৭৫ কোটি টাকা) কাছাকাছি।
বৈশ্বিক খাদ্যের বাজারে এখনো বাংলাদেশের কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে। উৎসাহের দিক হলো, বড় বড় বাজারে কিছুটা অবস্থান তৈরি করছেন এ দেশের রপ্তানিকারকেরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বছরে ২০ কোটি ডলারের (২ হাজার ২০০ কোটি টাকা) শুকনা খাবার রপ্তানি করছে। দেশের সার্বিক রপ্তানি আয়ের তুলনায় সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তা বড়।
শুকনা খাবার রপ্তানি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশে শুকনা খাবারের উপকরণ ময়দা, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেড়েছে। ডিমের দামও চড়া। সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা পিছিয়ে পড়েন। এখন আবার রপ্তানি বাড়ছে।
উদাহরণ হিসেবে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ভারতে এক কেজি চিনির দাম ৬০ টাকার কম। বাংলাদেশে তা ১৪০ টাকা। সেখানে একটি ডিম কেনা যায় ৭ থেকে ৮ টাকায়। বাংলাদেশে তা ১২ টাকা।
কী রপ্তানি হয়
শুকনা খাবার রপ্তানি খাতের অনেকগুলো শ্রেণির মধ্যে একটি। এর আওতায় অনেক কিছু রয়েছে। ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি উপাদান মিলিয়ে যেসব শুকনা খাবার তৈরি হয়, তার সবকিছুই এই শ্রেণিতে ফেলা হয়। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ১৯ নম্বর এইচএস কোডের (পণ্য শনাক্তকরণ নম্বর) অধীনে রপ্তানি করা সব পণ্য শুকনা খাবার হিসেবে গণ্য হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিস্কুট, পাস্তা, নুডলস, রুটি, কেক, ওয়েফার ইত্যাদি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ডলারের মিষ্টি বিস্কুট রপ্তানি হয়েছে, যা এ দেশের মুদ্রায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সমান। রাস্ক (টোস্ট নামে পরিচিত) রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের (প্রায় ২৬০ কোটি টাকা)। পাস্তা রপ্তানি হয়েছে সাড়ে তিন কোটি ডলারের (প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা)।
বেশি রপ্তানি হয়েছে রুটি, কেক, ওয়েফার ও সমজাতীয় পণ্য। পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকার সমান।
কোন দেশে রপ্তানি
ইপিবির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যেসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি, সেসব দেশে শুকনা খাবার রপ্তানি বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করেন। সেখানে প্রচুর বাংলাদেশি শুকনা খাবার রপ্তানি হয়। মালয়েশিয়ায়ও একই চিত্র।
বাংলাদেশি শুকনা খাবার রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, সাইপ্রাস, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের শুকনা খাবারের উল্লেখযোগ্য বাজার।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ফুড বাজারের চেয়ারম্যান আকলু মিয়া বলেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শুকনা খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ড্রাই কেক, টোস্ট, সেমাই, নুডলসসহ অন্যান্য শুকনা খাবার যুক্তরাজ্যে বিক্রি হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ছাড়াও অন্যরা এসব পণ্যের ক্রেতা। টেসকো ও পাউন্ড ল্যান্ডের মতো মূলধারার সুপারশপগুলোয়ও এখন বাংলাদেশি শুকনা খাবার বিক্রি হয়।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা এখন কিছু কিছু বিদেশি ব্র্যান্ডের জন্য শুকনা খাবার তৈরি করে রপ্তানি করছে। যেমন প্রাণ গ্রুপ জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেল মন্টি নামের একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডের জন্য চুক্তিতে শুকনা খাবার তৈরি করে।
ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট অ্যানালাইসিস রিসার্চ অ্যান্ড কনসাল্টিং গ্রুপের (আইএমএআরসি গ্রুপ) বাজার জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিস্কুটের বৈশ্বিক বাজার ছিল ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। ২০২৮ সালে এই বাজারের আকার বেড়ে ১৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ বর্তমানে বিস্কুটের রপ্তানি বাজারের খুব সামান্য হিস্যাই নিতে পেরেছে। তবে বড় সুযোগ রয়েছে।
প্রাণের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বিস্কুট বা শুকনা খাবারের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি বৈশ্বিক পণ্য। সব দেশের মানুষই খায়। ফলে এর বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের সেই বাজারে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, এখন রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা পায়। এর আওতায় তারা কাঁচামাল বিনা শুল্কে আমদানি করতে পারে। তবে দেশীয় উৎপাদকের শতভাগ রপ্তানিমুখী কারখানা নেই বললেই চলে।
দেশীয় বাজার ও রপ্তানির জন্য যেসব কারখানা আছে, সেসব কারখানার রপ্তানিমুখী অংশের জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা দেওয়া হলে রপ্তানি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন কামরুজ্জামান কামাল।
খাবার ও ওষুধের মানের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো খুঁতখুঁতে। সেই পশ্চিমা দেশেই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে বিস্কুট, পাস্তা, নুডলসসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার বা ড্রাই ফুড।
যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারের শুকনা খাবার রপ্তানি করেছেন, এ দেশের মুদ্রায় যা প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। পরিমাণ আড়াই কোটি ডলারের (২৭৫ কোটি টাকা) কাছাকাছি।
বৈশ্বিক খাদ্যের বাজারে এখনো বাংলাদেশের কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে। উৎসাহের দিক হলো, বড় বড় বাজারে কিছুটা অবস্থান তৈরি করছেন এ দেশের রপ্তানিকারকেরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বছরে ২০ কোটি ডলারের (২ হাজার ২০০ কোটি টাকা) শুকনা খাবার রপ্তানি করছে। দেশের সার্বিক রপ্তানি আয়ের তুলনায় সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তা বড়।
খাবার ও ওষুধের মানের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো খুঁতখুঁতে। সেই পশ্চিমা দেশেই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে বিস্কুট, পাস্তা, নুডলসসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার বা ড্রাই ফুড।
যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারের শুকনা খাবার রপ্তানি করেছেন, এ দেশের মুদ্রায় যা প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। পরিমাণ আড়াই কোটি ডলারের (২৭৫ কোটি টাকা) কাছাকাছি।
বৈশ্বিক খাদ্যের বাজারে এখনো বাংলাদেশের কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে। উৎসাহের দিক হলো, বড় বড় বাজারে কিছুটা অবস্থান তৈরি করছেন এ দেশের রপ্তানিকারকেরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বছরে ২০ কোটি ডলারের (২ হাজার ২০০ কোটি টাকা) শুকনা খাবার রপ্তানি করছে। দেশের সার্বিক রপ্তানি আয়ের তুলনায় সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তা বড়।
শুকনা খাবার রপ্তানি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশে শুকনা খাবারের উপকরণ ময়দা, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেড়েছে। ডিমের দামও চড়া। সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা পিছিয়ে পড়েন। এখন আবার রপ্তানি বাড়ছে।
উদাহরণ হিসেবে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ভারতে এক কেজি চিনির দাম ৬০ টাকার কম। বাংলাদেশে তা ১৪০ টাকা। সেখানে একটি ডিম কেনা যায় ৭ থেকে ৮ টাকায়। বাংলাদেশে তা ১২ টাকা।
কী রপ্তানি হয়
শুকনা খাবার রপ্তানি খাতের অনেকগুলো শ্রেণির মধ্যে একটি। এর আওতায় অনেক কিছু রয়েছে। ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি উপাদান মিলিয়ে যেসব শুকনা খাবার তৈরি হয়, তার সবকিছুই এই শ্রেণিতে ফেলা হয়। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ১৯ নম্বর এইচএস কোডের (পণ্য শনাক্তকরণ নম্বর) অধীনে রপ্তানি করা সব পণ্য শুকনা খাবার হিসেবে গণ্য হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিস্কুট, পাস্তা, নুডলস, রুটি, কেক, ওয়েফার ইত্যাদি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ডলারের মিষ্টি বিস্কুট রপ্তানি হয়েছে, যা এ দেশের মুদ্রায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সমান। রাস্ক (টোস্ট নামে পরিচিত) রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের (প্রায় ২৬০ কোটি টাকা)। পাস্তা রপ্তানি হয়েছে সাড়ে তিন কোটি ডলারের (প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা)।
বেশি রপ্তানি হয়েছে রুটি, কেক, ওয়েফার ও সমজাতীয় পণ্য। পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকার সমান।
কোন দেশে রপ্তানি
ইপিবির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যেসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি, সেসব দেশে শুকনা খাবার রপ্তানি বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করেন। সেখানে প্রচুর বাংলাদেশি শুকনা খাবার রপ্তানি হয়। মালয়েশিয়ায়ও একই চিত্র।
বাংলাদেশি শুকনা খাবার রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, সাইপ্রাস, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের শুকনা খাবারের উল্লেখযোগ্য বাজার।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ফুড বাজারের চেয়ারম্যান আকলু মিয়া বলেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শুকনা খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ড্রাই কেক, টোস্ট, সেমাই, নুডলসসহ অন্যান্য শুকনা খাবার যুক্তরাজ্যে বিক্রি হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ছাড়াও অন্যরা এসব পণ্যের ক্রেতা। টেসকো ও পাউন্ড ল্যান্ডের মতো মূলধারার সুপারশপগুলোয়ও এখন বাংলাদেশি শুকনা খাবার বিক্রি হয়।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা এখন কিছু কিছু বিদেশি ব্র্যান্ডের জন্য শুকনা খাবার তৈরি করে রপ্তানি করছে। যেমন প্রাণ গ্রুপ জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেল মন্টি নামের একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডের জন্য চুক্তিতে শুকনা খাবার তৈরি করে।
ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট অ্যানালাইসিস রিসার্চ অ্যান্ড কনসাল্টিং গ্রুপের (আইএমএআরসি গ্রুপ) বাজার জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিস্কুটের বৈশ্বিক বাজার ছিল ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। ২০২৮ সালে এই বাজারের আকার বেড়ে ১৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ বর্তমানে বিস্কুটের রপ্তানি বাজারের খুব সামান্য হিস্যাই নিতে পেরেছে। তবে বড় সুযোগ রয়েছে।
প্রাণের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বিস্কুট বা শুকনা খাবারের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি বৈশ্বিক পণ্য। সব দেশের মানুষই খায়। ফলে এর বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের সেই বাজারে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, এখন রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা পায়। এর আওতায় তারা কাঁচামাল বিনা শুল্কে আমদানি করতে পারে। তবে দেশীয় উৎপাদকের শতভাগ রপ্তানিমুখী কারখানা নেই বললেই চলে।
দেশীয় বাজার ও রপ্তানির জন্য যেসব কারখানা আছে, সেসব কারখানার রপ্তানিমুখী অংশের জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা দেওয়া হলে রপ্তানি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন কামরুজ্জামান কামাল।