রোগীর ব্যবস্থাপত্রে প্রতিদিন তিনবার করে টানা তিন মাস কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দিয়েছেন চাঁদপুরের এক চিকিৎসক। তবে বিষয়টিকে ‘স্লিপ অব পেন’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তি নামের এক চিকিৎসক চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যবস্থাপত্রটি দেন ২২ বছর বয়সী এক নারী রোগীকে।
সুমাইয়া আজাদ সিএমইউ আলট্রা এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত। তিনি বর্তমানে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মজিদিয়া ট্রাস্টের আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গাইনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং সনোলজিস্ট হিসেবে নিয়মিত রোগী দেখছেন।
সাধারণত চিকিৎসকরা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রথম দিনে এক ডোজ, এর সাতদিন পর আরেক ডোজ ক্রিমির ওষুধ দেন। এরপর একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর পুনরায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেতে পারেন।
এ বিষয়ে ডা. সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তি বলেন, “এটা ‘স্লিপ অব পেন’। ক্যালসিয়ামের ওষুধ ‘এলজেনটা ডিএস’ লিখতে চেয়েছিলাম। সেটা অসাবধানতাবশত ‘এলবেন ডিএস’ হয়ে গেছে।”
এদিকে ডা. সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তির দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক ফার্মেসির পরিচালক জানান, এমন ভুল তিনি একাধিকবার করেছেন। কখনো ট্যাবলেট-ক্যাপসুলের জায়গায় সিরাপ আবার সিরাপের জায়গায় ট্যাবলেট লিখেছেন।
বক্তব্য জানতে মজিদিয়া ট্রাস্ট আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মাহবুবুর রহমানের ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি তিনি ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত তিন মাস রোগী দেখছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। ব্যবস্থাপত্র লেখার সময় চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’