ছুটির দিন। স্নিগ্ধ বিকেল। চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন নবীন-প্রবীণ কবি লেখক। চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুর পাড় মুহূর্তেই পদচারণায় মুখর হয়ে উঠলো। শুক্রবার ঠিক ৫টায় শুরু হলো ‘সওগাত’ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগম’র জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা ও স্বরচিত সাহিত্য পাঠ। চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর অর্ন্তবর্তীকালীন (এডহক) কমিটির সদস্য কাদের পলাশের সঞ্চালনায় প্রথমেই মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ও নূরজাহানের জীবন ও কর্ম নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেন ম. নূরে আলম পাটওয়ারী। এরপর স্বরচিত ছোটগল্প পাঠ করেন নবীন লেখক ইয়াছিন দেওয়ান। এবার আলোচনায় আসলেন চাঁদপুরের প্রবীণ লেখক আব্দুল গণি। তার আলোচনার মাঝেই ঘটলো এক নান্দনিক ঘটনা। সাহিত্য আড্ডায় এসে উপস্থিত হলেন, দেশের বরেণ্য সংস্কৃতিজন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত লেখকরা আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। এসময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বললেন, জেলা পর্যায়ে এমন আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ। সাহিত্যের সাথে আমি আছি এবং থাকবো। এমনিক চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর পাশেও আমি আজীবন থাকবো। কারণ আমাদের সংস্কৃতির জাগরণ আরো সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত হন, শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (সৌম্য ছালেক) ও চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার দিতি সাহা। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবদুল্লাহিল কাফি।
সওগাত সম্পাদক ‘ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন’ ও বেগম পত্রিকার সম্পাদক ‘ নূরজাহান বেগম’র জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন-চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি শামীম আহমেদ , লেখক ও প্রাবন্ধিক আবদুল গনি, কবি ও অনুবাদক মাঈনুল ইসলাম মানিক, কবি ফরিদ হাসান ও লেখক আশিক বিন রহিম প্রমুখ। এছাড়াও সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। স্বরচিত সাহিত্য পাঠ ও আলোচনা সভায় কবি, কথাসাহিত্যিক, গল্পকার ও বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১শ লেখক সাহিত্য পাঠ করেন।