ঈদুল আজহার ছুটির পর আগামী ১৯ জুন থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি অফিস। ওইদিন থেকে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘আগামী ১৯ জুন (পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস) থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারণ করলো।’
রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জরুরি পরিসেবাগুলো নতুন অফিস সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য অর্থিক প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
এর আগে গত সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অফিসের সময়সূচিতে কেন পরিবর্তন আনা হয়েছে- জানতে চাইলে তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, ‘এটাই তো স্বাভাবিক। ৯টা থেকে ৫টা আট ঘণ্টা কাজ করবো আমরা। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করবো আমরা, আগে আমরা ৩৫ ঘণ্টা কাজ করতাম। সেটা একটা বিশেষ ব্যবস্থা ছিলো। আমরা আবার মূল অবস্থানে চলে আসলাম। এটি কার্যকর হবে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে যেদিন প্রথম কর্মদিবস সেদিন থেকে।’আগে সরকারি কর্মীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করতেন। জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট থেকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের সময়সূচি বদলে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী দুই মাসের বেশি সময় সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে।দুই মাসেরও বেশি সময় সকাল ৮টা-বিকেল ৩টা সূচিতে অফিস চলার পর ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছে।