স্বামীর কাজের পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলে ওয়্যালেস স্কুল রোড সংলগ্ন চৌধুরী ভিলার ভাড়াটিয়া বাড়িতে তার স্ত্রী কে ডেকে এনে শারীরিক নির্যাতন ও মারধোর করে রক্তাক্ত করলো ওয়্যালেস বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কসাই কামাল ও তার পরিবারের লোকজন। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী রুনা বেগম বাদী হয়ে কসাই কামাল, তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম, ছেলে নিরব ও তার মা জ্যোৎস্না বেগমকে বিবাদী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আব্দুল্লাহ গরু জবাই ও গরুর মাংস বানাতে পারদর্শী। চাঁদপুর শহরের বহু মাংসের দোকানে গরু জবাই ও মাংস বানিয়ে দেন আব্দুল্লাহ। আর সেই সুবাধে আব্দুল্লাহ ও মাংস ব্যবসায়ী ল্যাংড়া কামালের সাথে পরিচয়। মাংস ব্যবসায়ী কামাল শারিরীক ভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় আব্দুল্লাহ কে সব সময় কাজে ডাকত। কিছুদিন আগেও কামালের সাথে কাজ করিতে গিয়ে তাহার মোটর সাইকেলে দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনার আব্দুল্লাহ মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং কামাল এই বিষয়ে কোন খোঁজ খবর না নিলেও আব্দুল্লাহ নিজের মোটা অংকের টাকা খরচ করে চিকিৎসা করে।
কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে কসাই কামাল আব্দুল্লাহকে ডাকিয়া নিয়া বলে যে, ঈদের দিন তার সাথে থাকার কথা বলে, তার কোরবানির গরুটি জবাই করিয়া মাংস বানাইয়া দিতে বলে। আব্দুল্লাহ কথা মত ঈদের দিন গরু জবাই করে মাংস বানাইয়া দিয়া আসে। পরের দিন কসাই কামাল লোক মারফত শিলন্দীয়া আব্দুল্লাহ’র ভাড়া বাসায় মাত্র ৫/৬ টুকরা মাংস ও হাড্ডি পাঠায়। আব্দুল্লাহ সারাদিন কাজ করে, অথচয় তার পারিশ্রমিক না দিয়ে বরং ৫/৬ টুকরা মাংস ও হাড্ডি দেওয়াতে আব্দুল্লাহ অপমান বোধ করে। তাই আব্দুল্লাহ উক্ত মাংস ফেরত দিয়ে আসে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার জের ধরে কসাই কামাল আব্দুল্লাহ কে ফোনে বলে যে, তার স্ত্রী’ যেন বাসায় এসে দেখা করে বকেয়া ১৫ দিনের হাজিরার টাকাগুলো নিয়ে যেতে। আব্দুল্লাহ তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তার স্ত্রীকে যেতে বলে।
স্বামীর কথামত তার স্ত্রী অদ্য ১৯ জুন, বুধবার দুপুর আনুমানিক ১২:০০ ঘটিকার সময় ওয়্যারলেছ স্কুল রোড কামালের ভাড়াটিয়া বাসায় যায়। গোশত ফেরত পাঠানোর কারনে কামাল পূর্ববর্তী ঘটনার জের ধরে ক্ষোভের বশবর্তী হইয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একটি ছুরি হাতে নিয়া আব্দুল্লাহ স্ত্রীকে রুমের ভিতরে নিয়ে যায়। রুমের ভিতরে নিয়ে খাটের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার গায়ে ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় কামালের স্ত্রী ও তার মা তাকে সরিয়ে দিয়ে আব্দুল্লাহ স্ত্রী কে মেঝেতে ফেলে দিয়ে কেবল কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে।
মেঝে থেকে ওঠিয়ে তাকে জীবনের তরে খুন করার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। ধস্তাধস্তি অবস্থায় তাদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে আব্দুল্লাহ স্ত্রী ডাক চিৎকার শুরু করে। এ অবস্থায় তার গলায় থাকা আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যাহার আনুমানিক মূল্য ৬০,০০০/- টাকা তাহা চিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় আব্দুল্লাহ স্ত্রী কে লোকজন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ওয়্যালেস বাজারের স্থানীয় লোকজন জানান কসাই কামাল প্রতিবন্ধী হলে কি হবে, সে সুবিধার লোক না। সে সব সময় যে কারো সাথে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। তার ব্যবহার খারাপ। নারী কে তার বাসায় ডেকে এনে এই রকম ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে প্রশাসনের কাছে কামালের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।