কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজী (৪৫) উপর অতর্কিত হামলা হয়। গত শুক্রবার উপজেলার আলীয়ারা গ্রামের শাহাজানের বাড়ীর সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি নিজে বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার ভূক্তরা হলেন- ওই গ্রামের রহমত আলী মাস্টারের ছেলে আল আমিন (৩২), আব্দুর রহমান (৩৮), জামাল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫)।
এজহার সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজী এলাকায় চুরি চামারীর বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজের সচেতন নাগরিকদের নিয়ে চুরি রোধকল্পে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সচেতন বৃদ্ধি করার জন্য মিটিংয়ের আয়োজন করেন। উক্ত মিটিংয়ে যাওয়ার পথে শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে এলাকার বখাটে আল-আমিন, আব্দুর রহমান, জামাল আমার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ইউপি সদস্যের কপাল ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজী কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মামলায় আল আমিন ও আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, আমার পরিষদের সদস্যের উপর হামলার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের বিচার দাবী করছি।
ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে গেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান।