কচুয়া উপজেলার একাধিক জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক লেগে গেছে। ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিপুল সংখ্যক ফসলি জমি। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে খাল ও বিলসহ কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় আশপাশের কৃষি জমিগুলো ভেঙ্গে পড়ছে। এতে করে কৃষি জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে অনেক কৃষক। এছাড়াও দিন দিন ভূখন্ডের ভারসাম্য হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখাযায়,উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের তেতৈয়া ১টি, পালাখাল ইউনিয়নের সফিবাদ-আইনপুর মাঠে ২টি, বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পাশে ২টি ,বিতারা দুর্গাপুর ঘোগড়া বিলে ৩টি, সাচার ইউনিয়নের রাগদৈল-বুজুড়িখোলা আশ্রায়ন কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে ৫টিসহ একাধিক স্থানে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
তেতৈয়া গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, তেতৈয়া গ্রামে ফসলী মাঠে এক মাস ধরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বালু উত্তোলন করে আসছেন একটি চক্র।
গত ১০ থেকে ১২ আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার এসে মেশিন বন্ধ করে দিলে দুদিন পর তারা আরও উৎসাহিত হয়ে দুটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
বক্সগঞ্জের স্থানীয় লোকজন জানান, একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কৃষি জমির থেকে বালু উত্তোলন করে সরকারি রাস্তা নির্মাণে বালু দেওয়ার নামে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন।
বজুরীখোলার কৃষকরা জানান, ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি ও কিছু সংবাদ কর্মীদেরকে ম্যানেজ করে একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বছরের পর বছর বালু উত্তোলন করে ঐতিহ্যবাহী ঘোগড়াবিল এখন গাঙ্গের পরিণতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি বলেন, উপজেলায় কেউ অবৈধভাবে বালু উ পরত্তোলন করলে তথ্য পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।