মুষলধারে বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হাঁটুসমান পানি জমেছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১০৭ মিলিমিটার।এদিকে, টানা বৃষ্টিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। আবার পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় মসজিদ-মাদরাসাসহ অর্ধশতাধিক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের নাজিরপাড়া, বিষ্ণুদী মাদরাসা রোড, চাঁদপুর সরকারি কলেজ রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, টানা দুইদিনের ভারি বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল।
শহরের পুরান বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবারে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক দোকান দেরিতে খুলেছে। যারা নির্মাণ শ্রমিক তারাও কাজে যেতে পারেনি।
শহরের মাদরাসা রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। পানি একটু কমলেও বৃষ্টিতে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠেছে। পানি গড়িয়ে নামলেও কমছে না।
শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাবু বলেন, টানা বৃষ্টিতে এলাকার সড়ক ডুবে গেছে। তবে পানি সকালে কিছুটা কমেছে।
শহরের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু বকর বলেন, এত বৃষ্টি হয়েছে যে মসজিদের ভেতরে হাঁটু পানি। এ পানি যেতে অনেক সময় লাগবে। এছাড়া এলাকার নিচু বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। মূলত তারাই বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সন্ধ্যার পরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও মধ্যরাত থেকে আবার বেড়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টি বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত আছে।চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক পরির্দশক (টিআই) মো. শাহ্ আলম জানান, টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌ পথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।