চাঁদপুরে নাক, কান,গলা ও মুখ গহ্বর, ঘাড় মাথার রোগ বিশেষঙ্গ সার্জন ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম খানের ভুল চিকিৎসায় মনোয়ারা বেগম নামে ৩ সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে।
জানা যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি চাঁদখার দোকান সংলগ্ন গাজী বাড়ির ফারুক গাজীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী মনোয়ারা বেগম গলার টিউমার চিকিৎসার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম খানের নিকট চিকিৎসার জন্য আসেন। এই সময় ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম খান রোগীর টনসিল অপারেশন করার জন্য পরামর্শ দেন। রোগী ও তার সজনরা টনসিল অপারেশন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ডাক্তারে নিকট আসলে তিনি রোগীকে মেরিন হাসপাতাল এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে ভর্তি হতে বলেন।
রোগীর সজনদের দাবি ডাক্তারের পরামর্শে রোগী ঐ দিন দুপুর ২ ঘটিকায় হাসপাতে ভর্তি হন। রোগীকে দুপুর ৩ ঘটিকায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। একই সাথে আরো কয়েকজন রোগীকেও অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলেও কিছু সময়ের পর তাদের অপারেশন শেষ বের করা হয়। মনোয়ারা বেগমকে ভুল চিকিৎসা করার কারনে অপারেশন থিয়েটারে মারা যায় এই তথ্যটি গোপন রেখে অপারেশন থিয়েটারে রেখে দেওয়া হয়। বিকাল ৫ ঘটিকায় ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতালের দায়িত্বরত লোকজন নিজেরা এম্বুল্যান্স খবর দিয়ে মনোয়ারা বেগম কে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হন। এই সুযোগে ডাক্তার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোগীর সজনদের আরো লোকজন এম্বুল্যান্স বাবুরহাট এলাকায় থামিয়ে দেখে যে রোগী মৃত। তখন তারা এম্বুলেন্স সহ হাসাপাতালে নিয়ে আসলে মৃত রোগীর সজনদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ও সুযোগ সন্ধানী লোকজন জড় হয়। সজনদের দাবি সুযোগ সন্ধানী এই লোকগুলো হাসপাতাল ব্যাপক ভাংচুর করে এবং হাসপাতালের কয়েকজনকে আহত করে। এই পরিস্থিতিতে সজনরা সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের কল দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় হাসপাতালে যে ভাংচুর ও তান্ডব হয়েছে তা দশ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান। তারপরও তারা বিষয়টি শান্তিপূর্ন সমাধানের জন্য রাজি বলে জানান।