সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। সব আত্মত্যাগ, সব শহীদের রক্তের সঙ্গে আমাদের ইমানদারি রক্ষা করতে হবে। শহীদদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাঁচ শতাধিক শহীদের হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ২০২১ সালের মোদীবিরোধী আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের বিচার ছাড়া বাংলাদেশ চলতে দেওয়া হবে না। এভাবেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সহযোগিতা করবো। তারা আমাদের প্রাণের দাবিগুলো পূরণ করবেন, সেই প্রত্যাশা করছি।’
সংখ্যালঘুদের জানমাল-ইজ্জত-আবরু, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তায় হেফাজতে ইসলাম অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (নেতাকর্মী) উলামায়ে কেরামদের, ইমামদের সহযোগিতা করবেন। প্রত্যেকটি মার্কেটে, প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বাভাবিকভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত না হবে, দেশের ছাত্রসমাজ যেভাবে দায়িত্ব পালন করছে; সেভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।’
মামুনুল হক বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও ‘রাজাকার’ নাম দিয়ে ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীকে দাবিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করেছিল। গোটা দেশের মেধাবী জনতাকে ‘রাজাকার’ বলে গালি দিয়েছিল; তখন আন্দোলন বারুদের মতো জ্বলে উঠেছিল। মনে রাখতে হবে এই ঐক্য আন্দোলনের মূল ভিত। আগামী দিনে এই ঐক্যকে ফাটল ধরানোর জন্য পরাজিত শক্তি আবার চেষ্টা করছে।”হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, বিশেষ বক্তা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি আবু তাহের জিহাদী, সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশিরুল্লাহ প্রমুখ।