ঢাকা মেডিকেলের মর্গে মরদেহ আটকে রেখে জোরপূর্বক টাকা দাবির ঘটনায় দুই জনকে আটক করে আনসার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে এঘটনা ঘটে।
যশোরে আন্দোলনের ঘটনায় ৫ আগস্ট একটি ভবনে দুর্বৃত্তরা আগুন দিলে ভবনে আটকে পড়ে মো. সাকিব (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী দগ্ধ হন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাকিবের বাবা মো. আলাউদ্দিন অভিযোগ করে জানান, আমার ছেলের মরদেহ নিতে গেলে মর্গের ক্লিনার খোকন ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।টাকা দিতে রাজি না হলে আমার ছেলের লাশ মর্গে আটকে রাখেন।
আরেক নিহতের স্বজন মো. ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মো. জালাল মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর মরদেহ নিতে গেলে মর্গের ক্লিনার খোকন ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে খোকন আট হাজার টাকায় রাজি হন বলে জানান তিনি।
এ খবর জানতে পেরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক মাহিন সরকার ও মেডিকেল টিমের সদস্য নাহিদা বুশরা ঢাকা মেডিকেলে আসেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক মাহিন সরকার জানান,আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানকে জানিয়েছি।ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, আমরা দীর্ঘদিন এমন কথা শুনছি তবে কখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই হাসপাতালের বিভাগীয় নিয়ম এবং দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।