ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর পতন হয় স্বৈরাচার সরকারের। প্রায় সারাদেশে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। এর জেরে কর্ম বিরতিতে সারা দেশের থানাগুলো ছিল পুলিশ শূন্য। ঠিক রাষ্ট্রের এই ক্লান্তিকালে সুযোগ পেয়ে ৯ আগস্ট শুক্রবার স্ত্রীকে পিটিয়ে ঘরছাড়া করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার চপাতিয়া পটুয়াপাড়া প্রধানীয়া বাড়ির বহু মামলার আসাসী আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ফয়সাল প্রধানীয়া (২৭) ও তার পিতা ইউসুফ প্রধানীয়া (৫৩)।
মাদক ব্যবসায়ী ফয়সাল প্রধানীয়ার স্ত্রী সাথী বেগম (২২) বলেন ৬ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ হয়। আমাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী কারনে অকারনে এই ৬ টি বছর আমাকে শারীরিক, মানসিক ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামী সকল নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে স্বামীর বাড়িতেই পড়েছিলাম। আমাকে তাড়ানোর জন্য বহু চেষ্টা করে তারা। মাদক বিক্রি, মাদক সেবন সহ আমার স্বামীর অন্যায় কাজের জন্য ডাক দিলে আমাকে মাইরধোর করত। সর্বশেষ ৯ আগস্ট শুক্রবার আমার স্বামী আমার শরীলের বিভিন্ন জায়গায় নির্মম ভাবে আঘাত করে, আর বলে আমাকে মেরে ফেলবে, বিচার করার জন্য দেশে পুলিশ নাই তাকে কেউ ধরতে আসবে না। আমাকে মারতে না পেরে বাড়ি থেকে তারা বের করে দেয়।
আমরা ৬ বোন, বাবা মারা গেছে। আমার বোনরা আমার শারীরিক নির্যাতনের কথা শুনে ১২ আগস্ট সোমবার বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় আমাকে নিয়ে আমার শশুর বাড়ি যায়। আমাকে নির্যাতের কারন জানতে চাইলে আমার স্বামী ফয়সাল প্রধানীয়া ও শ্বশুর ইউসুফ প্রধানীয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর আমার বোন সুমিকে কপালে দারালো চুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে, যে খানে ৫ টা সেলাই লাগে, আমার শশুর আমার আরেক বোন মনি বেগমের মাথা ও নাকে এলোপাথাড়ি কোপ মেরে মাথা ও নাক ফাটিয়ে দেয়, বোন কাকলী ও সাথীকে কিল ঘুষি মেরে শরীলের বিভিন্ন স্থানে থেতলানো জখম করে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
প্রভাতী কাগজ//অনলাইন ডেস্ক//