ছাত্রদের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। এরই মধ্যে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে দুইটি প্রধান দল বিএনপি ও আওয়ামীলীগ দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তবে সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে তারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকার ও সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মাহফুজ আলম নামের একজন বলেন, ছাত্র নেতারা দ্বৈত প্রথার অবসান ঘটাতে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছেন।
২৬ বছর বয়সী এই আইনের শিক্ষার্থী বলেন, এ ব্যাপারে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির আগে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা একদম সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে পরামর্শ করতে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের গেটের সামনে তিনি বলেন, দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষ সত্যিই ক্লান্ত। আমাদের ওপর তাদের আস্থা আছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ চৌধুরী নামের একজন বলেন, একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারে দায়িত্ব পাওয়া ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল নতুন বাংলাদেশ গঠন করা। যেখানে আর ফ্যাসিজম বা স্বৈরতন্ত্র ফিরবে না। সে জন্যই আমাদের কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। এতে কিছু সময় লাগবে বলেও জানান নাহিদ।গত ১৫ বছর যা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি না ঘটনার প্রত্যাশা জানিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।