জনদূর্ভোগ লাঘবে বার বার চেয়ের সরকারি বেসরকারি কোনরূপ বরাদ্দ না পেয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই একের পর এক রাস্তা সংস্কারসহ উন্নয়নমূলক কাজ করে আলোচনায় রয়েছেন এক ইউপি সদস্য। তিনি হচ্ছেন চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী আখন্দ।
১৬ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কার কাজের অগ্রগতি দেখতে গেলে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় আবদুল কাদের, ইমাম হোসেন মাল, জয়নাল হাওলাদার বলেন, চলমান ক্রান্তিলগ্নে জনদূর্ভোগ লাঘবে একজন ইউপি সদস্য যেভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আমরা চাই তিনি সুস্থ্য থেকে এভাবেই জনসেবা চালিয়ে যেতে পারেন।
সরজমিনে দেখা যায়, চরভৈরবী নতুন বাজার থেকে নদীর পাড় হয়ে ৫৩ নং উত্তর বগুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ হয়ে গরম বাজার দিয়ে চর কোরালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ হয়ে নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অতছ এই রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলে দারুন বেগ পেতে হতো। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে কাঁদামাটি হয়ে যেতো।
শিক্ষার্থী তারেক, সোহাগ, তামান্নাসহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের স্কুল কলেজ চালু হয়েছে। বৃষ্টি হলে এ পথ দিয়ে যেতে আমাদের হাঁটু পানি, কখনো কখনো তারও বেশি পানি দিয়ে চলাচল করতে হতো। পানি কমে গেলে পুরো পথটি কাদায় ভরে যেতো। স্কুলের পোশাক পরে জুতা পায়ে দিয়ে আমাদের যাওয়া আসায় খুব ভোগান্তি হতো। এখন রাস্তাটি সংস্কার করায় নিশ্চন্ত হলাম।
জানা যায়, ইন্টার পাশ মোহাম্মদ আলী আখন্দ হচ্ছেন মৃত আব্দুল ছত্তার আখন্দ ও আয়তুল নেছা দম্পত্তির ৯ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। তিনি কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের না হলেও তার স্ত্রী তানজিল বেগমের অনুপ্রেরণায় ভোটে দাড়িয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তার সংসারে তানিম ও সালমান নামের ২ ছেলে ও মেহেরা নামে ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। ব্যাক্তি জীবনে তিনি জনপ্রতিনিধি ছাড়াও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী আখন্দ বলেন, মানুষ আমাকে ভালোবেসে ভোটের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে। তাই দায়বদ্ধতা থেকে কাজের মাধ্যমে তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকারি বরাদ্দ যা আসে তা দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব নয়। তাই নিজের অর্থায়নে শুধু রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণই নয়, যার যেকোন সমস্যায় আমাকে স্মরণ করে আমি সাধ্যমতো পাশে থাকি। সবার কাছে দোয়া চাই যাতে আমার সততা নিয়ে সবসময় জনসেবা অব্যাহত রাখতে পারি।