মতলব উত্তরে যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিবাদী চেয়ারম্যান কাজী মিজান সহ ৭ জনের রিমান্ড না মঞ্জুর করেছেন চাঁদপুর আদালত। ২২ জুন বৃহস্পতিবার চাঁদপুর আদালতে জামিন শুনানির দিন দার্য থাকলে পুলিশ বিবাদীদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। মামলার শুনানি হলে আদালত ৭ বিবাদীর রিমান্ড না মঞ্জুর করে এবং ১নং বিবাদী চেয়ারম্যান কাজী মিজানকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে যাওয়ার পথে ১৭ জুন শনিবার যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান ও তার দুই ভাই কাজী হাবিবুর রহমান ও কাজী মতিন জড়িত থাকার অভিযোগ করছেন। মতলব উত্তরে আওয়ামী রাজনৈতিক কোন্দল ও প্রতিহিংসায় বহু ত্যাগি নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বিকার হচ্ছে। যার জলন্ত উদাহরণ এ মামলাটি।
কাজী মিজনের ছেলে কাজী আবু জাফর জানান, আমার বাবা ও চাচারা স্বড়যন্ত্রের স্বিকার। যার সাথে দীর্ঘ ৩৫ বছর রাজনীতি করেছেন তিনিই এখন নানান ভাবে আমাদের পরিবারকে বিপদে পালানোর চেষ্ঠা করছেন। তার একটাই কারন গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি নমিনেশন না পওয়ায় এবং আমদের পরিবার জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকার পক্ষে কাজ করাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ মামলার বাদী পক্ষরা ২২ জুন বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কোর্ট প্রাঙ্গনে ব্যানার প্যাষ্টুন নিয়ে ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেন। দেখা যায় ৩১ জন আসামীর মধ্যে শুধু আমার বাবা ও দুই চাচার ফাঁসি দাবী করেন। এতেই বুঝা যায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাদেরকে হয়রানির জন্যই বিবাদী করা হয়েছে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে কাজী মিজান। তিনি নৌকা প্রতীকও পেয়েছিলেন। পরে সেই প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়। যারা চায়নি কাজী মিজান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করুক, তারাই এখন যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তাকে ও তার দুই ভাইকে জড়িয়েছে।
এ ঘটনার সূত্রপাত প্রায় দুই বছর আগে। মোহনপুর ইউপি নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজ্জাক প্রধানের সাথে আলমগীর ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ওই নির্বাচনে মেম্বার পদে পরাজিত হন আব্দুর রাজ্জাক। এর পর থেকে রাজ্জাক ও আলমগীরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কলহ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুন শনিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষেই যুবলীগ কর্মী বাবু নিহত হন।
এ মামলায় আওয়ামী পরিবারের ৩১ জনকে বিবাদী করে গত ১৮ জুন রবিবার মতলব থানায় নিহত বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন বাহাদুরপুরের কাজল সরকারের স্ত্রী মামলার ২৪ নং বিবাদী ছাবিয়া বেগম (৪৫) দের বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। অথচ এ নিরিহ মহিলাকেও এ মামলা জড়ানো হয়েছে। এমনকি আরো একজন মহিলাকেও অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী নিরিহ মানুষদেরকে যেন এ মামলায় হয়রানি না করা হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।