কোরবানির ঈদ ঘিরে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিটেন্সের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে, যা, এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে।
জুন মাসে আসা এই রেমিটেন্সের পরিমাণ এক বছর আগের একই মাসের চেয়ে ১৯.৫ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলারের রেমিটেন্স।
সাধারণত রোজা, ঈদ, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে প্রবাসীরা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকেন। এবারও তেমনটিই হয়েছে।
দেশে ডলার সঙ্কটের মধ্যে গতবছরের শেষ দিক থেকে রেমিটেন্সের গতি কমে আসায় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি নিয়েই অর্থবছর শেষ হয়েছে।
২০২২–২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
রেমিটেন্স বাবদে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। তার আগে অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
রেমিটেন্সে এই চাঙ্গাভাবের মধ্যে ঈদের আগে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির ঋণের ৫২ কোটি ডলার বাংলাদেশের হাতে এসেছে। তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রর রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল।
ডলার সংকটের মধ্যে রেমিটেন্স বাড়াতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হুন্ডি রোধে প্রবাসী আয় সংগ্রহে বিনিময় হারে সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দাম দিচ্ছে।
এরসঙ্গে আড়াই শতাংশের সরকারি প্রণোদনা দিচ্ছে এবং কাগজপত্রের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যেও প্রবাসী আয় ওঠানামা করছে।