চাঁদপুর ৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা সরকার
উল্লেখ করে বলেন, সমগ্র জীবনই যার কেটেছে লড়াই সংগ্রামে। সাধারণ আর দশটা মানুষের মতো তিনি পাননি পরিবারের সান্নিধ্য, ছিলোনা জীবনের স্বাভাবিক গতিধারাও। সব হারিয়েও যিনি দেশকে
এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাফল্যের সর্বোচ্ছ চ‚ড়ায়। বর্ণাঢ্য সেই সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ এ পর্যন্ত চার মেয়াদে ক্ষমতাধীন রয়েছে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দালটি। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চারতৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের ম্যধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়।
দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বার সরকার গঠিত হয়। এছাড়া তিনি তিনবার বিরোধীদলের নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি বাংলদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারনে। তার সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঠামোগত রূপান্তর এবং উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ সাধ্য কাজ নয়। ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদাত্ত আহবানে আসুন আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি যা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নপূরণের একমাত্র পথ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাছান
মিরাজের দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি ও ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সন্তোষপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
মাহমুদুল হাছান মিরাজের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম রয়েলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির সদস্য খাজে আহমেদ মজুমদার, উপজেলা আওয়ামিলীগ সদস্য জসিম উদ্দিন মন্টু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন, ইউপি সদস্য হানিফ জমাদার সুমন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য জিএম হাছান তাবাচ্ছুম, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেন, সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি আবুল কাশেম ঢালী, রফিকুল ইসলাম, পারভেজ
আহমেদ, আব্দুস ছাত্তার পাটওয়ারী, শাহাবুদ্দিন টিপু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শিমুল পাটওয়ারী,
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম পাটওয়ারী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি গাজী আলী নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় গাজী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।