মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের নয়াকান্দি মেইন রোড থেকে পলি আক্তার (২৭) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৪ জুলাই ভোরে তার লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে। পলি আক্তার নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার শিবপুর এলাকার তাজুল ইসলামের মেয়ে।
এদিকে উপজেলার পশ্চিম রায়েরদিয়া গ্রামের সিংগাপুর প্রবাসী মোঃ মাছুম আত্মহত্যা করেছেন। গত ২ জুলাই পারিবারিক কলোহের জেড় ধরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই প্রবাসী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ জুলাই রাতে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মঙ্গলবার সকালে তার নিথর দেহ বাড়িতে আনলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার মা ও স্বজনরা।
মতলব উত্তর উপজেলার জঙ্গল ইসলামাবাদ গ্রামের মোবারক মিয়াজীর ছেলে শুক্কুর আলী মিয়াজী (২০) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার বিষপান করার পর তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এছাড়াও উপজেলার পশ্চিম নাউরী গ্রামের কামাল সরকারের শিশু সন্তান আরাফাত আর রাফি (৩) নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় নাউরী থেকে ইজিবাইক যোগে পাচানী চৌরাস্তা বাজারে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আত্মহত্যাকারী মাছুমের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক কলোহের জেড় ধরে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সুত্র জানায়, মাছুম পাশের ডুবগী গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার কন্যা ইয়াসমিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তারপর কর্মের জন্য পাড়ি জমান প্রবাসে। সেখান থেকে রোজগারের সব টাকা স্ত্রীর কাছেই পাঠাতেন। সবশেষে গত ২৯ জুন ঈদুল আজহার দিন দেশে আসেন মাছুম। স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের সাথে কলোহ সৃষ্টি হলে মাছুম তার শ্বশুর বাড়িতে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ পান করেন। মাছুমের পিতা নবী হোসেন এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন আমার ছেলে অত্যন্ত ভালো ছিল। ইয়াসমিনকে সে সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে। তার সমস্ত টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে মাছুমের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। তা সহ্য করতে না পেরেই আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে মাছুমের স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, মাছুম কেন আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না।
ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মতলব উত্তর থানার এসআই সুজিত ও আল-আমিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মাছুমের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন মাছুমের পিতা নবী হোসেন।