নানা বৈষম্যের অভিযোগ তুলে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। মঙ্গলবার থেকে ‘লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি’ ঘোষণা করে তারা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে। সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আহ্বানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
শিক্ষকদের অভিযোগ দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ‘পাহাড় সমান’বৈষম্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে এলেও তাদের দাবি উপেক্ষিত রয়ে গেছে; তাই কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন তারা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অন্যান্য চাকরিজীবীদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক বৈষম্য পাহাড়-সমান। আজকে কোরবানি এসে যায়, আমাদের বেতন হয় না। বোনাস যা দেয়, তা সামান্য। অন্যান্য চাকরিজীবীরা বোনাসের টাকাতেই কোরবানি দিতে পারে। আর আমাদেরকে কোরবানি দিতে গেলে টাকার জন্য ঘুরতে হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি কখনও ক্ষমতায় যাই, শিক্ষকদেরকে রাস্তায় নামতে হবে না।’ তারপর ৩০ বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু আজও তার কথার কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না। উনি আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। অথচ প্রতি বছরই মাঠে-ময়দানে নেমে চেষ্টা করছি উনাকে জানান দেয়ার জন্য।
কাশেম বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে মাধ্যমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করা কোনো কঠিন কাজ না। এটা সদিচ্ছার অভাব। আমাদের বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা। এটা অত্যন্ত লজ্জার একটা কথা। সরকার কি আামাদের জন্য এমন কোনো ব্যবস্থা করে দিয়েছে, যে নামমাত্র ১০০০ টাকা দিলেই আমরা থাকতে পারব? বাড়ি ভাড়ার এই বৈষম্যের অবসান চাই।