চাঁদপুর থানায় খাদ্য সরবরাহকারী শাহানারা বেগম সানু (৪০) ও তার স্বামী ইয়ার হোসেনকে(৪৪) ১২শ’পিচ ইয়াবাসহ চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। সে আদেশে পুলিশ তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এ অভিযান পরিচালনা করে ১২শ’পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয় চাঁদপুর শহরের বকুলতলার এলাকার সানুর ভাড়া করা বাসা থেকে। শহরের বকুলতলা রোডস্থ এলাকা এখন মাদকের স্বর্গ রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত ও পরিচিতি লাভ করেছে। এক কথায় বকুলতলা হলো শতশত যুবকের প্রতিদিনের আড্ডার একটি নির্ভরযোগ্য স্থান হিসিবে পরিচিত হয়েছে এবং এখানে প্রতিদিন যুবকদের কাছে প্রকাশ্যে দিনে ও রাতে মাদক বিক্রির মহাৎসব চলে বলে অসংখ্য এলাকাবাসী থেকে অভিযোগ উঠেছে।
এ বকুলতলায় মাদকের ব্যবসা জমজমাট হওয়ায় এখানে ভয়ে সাধারন ক্রেতা দোকানে কেনা-কাটা করতে আসতে সাহব পাচ্ছেনা বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ করে জানান। এ বকুলতলায় প্রতিদিন যেকানে শতশত মানুষের যাতায়ত ছিলনা,সেখানে বিভিন্ন প্রকার মাদক বেচাবিক্রি হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়ত হয়ে থাকে।
এখানে মাদক ক্রয়-বিক্রি করার একটি নির্ভর যোগ্য স্থান হিসিবে পরিচিতি পাওয়ায় এখানে প্রতিদিন মোটরবাইকসহ শতশত যানবাহন চলাচল করে থাকে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ নাকরা স্বত্তে একজন শিক্ষার্থী জানান,এখানে প্রতিদিন লাখ-লাখ টাকা মাদক ক্রয়-বিক্রয় চলে। বলতে গেলে এ বকুলতলা এখন মাদকের ডিপোতে পরিনত হয়েছে।
এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করলে অসংস্য মাদক বিক্রেতা সানু ও ইয়ার হোসেনের মত মাদক কারবারিকে আটক করা সম্বব হবে।
এ মাদক বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুস সালামসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য দিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী। এর পূর্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের পালবাজার এলাকায় বকুলতলার ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করে ১২শ’পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয় চাঁদপুর শহরের বকুলতলার এলাকার সানুর ভাড়া করা বাসা থেকে। শহরের বকুলতলা এলাকা এখন মাদকের স্বর্গ রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়েছে এবং এখানে প্রতিদিন যুবকদের কাছে প্রকাশ্যে দিনে ও মাদক বিক্রির মহাৎসব চলে বলে অসংখ্য এলাকাবাসী থেকে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা ডিবির ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী জানান, মাদক কেনাবেচার গোপন সংবাদ পেয়ে শাহানারার বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১২শ’ পিসসহ শাহানারা ও ইয়ার হোসেনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুস সালাম গত কয়েক দিন ধরে তাদের ওপর নজর রাখছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইয়াবাসহ তাদের হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহানারা বেগম শানু চাঁদপুর সদর মডেল থানার ব্যারাকে পুলিশের খাবার সরবরাহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। আর এই সুযোগে শানু ও তার স্বামী ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত হয়ে মাদক বেচা-বিক্রি করে যাচ্ছিলেন।
তবে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে তাকে এই কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ইয়াবা আটকের ঘটনায় সদর মডেল থানায় সানু দম্পতির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।