রাশিয়া শস্য চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ফলে খাদ্য সংকট আরও তীব্র হবে। ফলে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। কারণ এই শস্য চুক্তির আওতায় ইউক্রেন কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে থাকে।
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা রাশিয়া সরকারকে অবিলম্বে তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করছি।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন। তবে এ ব্যাপারে জাতিসংঘের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানা তিনি।
শস্য চুক্তি বাতিলের জেরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, শস্য চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর রুশ সিদ্ধান্ত বিশ্বের জন্য একটি খারাপ বার্তা।
মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। বেড়ে যায় দাম। বিশেষ করে দরিদ্রদেশগুলোতে।
পরে জতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দেশ দুইটির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়। এর আওতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে এত দিন শস্য রপ্তানি করে আসছে ইউক্রেন। এবার এই চুক্তি থেকে সরে গেলো রাশিয়া।
গত বছর ওই চুক্তির পর বেশ কয়েকবার নবায়ন করা হয়। সবশেষ মেয়াদ ছিল সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত। কিন্তু বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে রাশিয়া চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শস্য চুক্তির অধীনে ৩ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা, গম ও অন্যান্য শস্য ইউক্রেন রপ্তানি করেছে। শেষ জাহাজটি রোববার ইউক্রেন ছাড়ে।