চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসন থেকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (এসি মিজান) এর কর্মী-সমর্থকদের লাগানো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর ছবিযুক্ত বিলবোর্ড ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই ) দিবাগত রাতে উপজেলার ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় সামনে সহ বিভিন্ন স্থানে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সম্বলিত বিলবোর্ড উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (এসি মিজান) এর কর্মী-সমর্থকরা। ওই ফেস্টুনগুলোতে মিজানুর রহমানের ছবি ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,
, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর যুক্ত ছিল। বিলবোর্ডগুলো লাগানোর পর গত বৃহস্পতিবার বিবাগত রাতে ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের বিলবোর্ডটি কেটে ও ছিঁড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ উপজেলা জুড়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেই ক্ষেত্রে কারো জনপ্রিয়তা বেশি, হয়তো কারো কম। কিন্তু কারো জনপ্রিয়তা দেখে, তার বিলবোর্ড ফেস্টুন কেটে নিবে, ছিঁড়ে ফেলবে, এটা কেমন রাজনীতি। ওই বিলবোর্ড গুলোতে তো আমাদের জাতির পিতা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এর ছবিও ছিল। তারা (দুর্বৃত্তরা) তাঁদের ছবিও বাদ দেয়নি। তাদের ছবির মাঝখান দিয়ে কেটে নিয়েছে। আমরা এমন প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি কাটতে যারা কোন পরোয়া করে না, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন কর্মীরা লাগাবে, এটা তাদের নেতাদের প্রতি ভালোবাসা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি, তাই আমাকে দলের ভিতর অনেকেই পছন্দ নাও করতে পারেন। তাই বলে এভাবে বঙ্গবন্ধু ও আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি কেটে নিবে? তাদের ছবি ছিঁড়ে নিচে ময়লার মধ্যে ফেলে দিবে? এটা কেমন রাজনীতি? আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।