কৃষক-শ্রমিকদের বিশ্রামের কথা চিন্তা করে কচুয়া উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের জলাতেতৈয়া,দোয়াটি,ঘাগড়া,রাজাপুরের কৃষক ও দিনমজুরদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ ও সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম আখতার হোসাইন। এ বিশ্রামাগার থেকে জলাতেতৈয়া ও আশেপাশে গ্রামের প্রায় ২ হাজার কৃষক ও দিনমজুর পরিবার সুবিধা পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান,কৃষকরা মাঠের মাঝখানে কৃষি কাজ করে প্রচন্ড রোদে চরম দুর্ভোগ্য পড়তে হয়। এই বিলের মাঝখানে নেই কোন বাড়িঘর, প্রতিনিয়ত দেখা যায় প্রচন্ড রোদে ও গরমে পানির তৃষ্ণনায় কৃষকরা বিপাকে পড়ে থাকে । কৃষক বাঁচলে’ বাজবে দেশ, এই প্রতিপাদ্য কে মূল্যায়ন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তুলেন বিশ্রামগার ও সুপেয় পানির নলকূপ। বর্তমানে কৃষকরা স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করা জন্য বিশ্রামাগার খাবার খেতে পারেন, পাশাপাশি গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানির তৃষ্ণা মেটাতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে কৃষি খাতে ভর্তুকি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রণোদনা, কৃষিঋণ, বিনামূল্যে এবং ভর্তুকি মূল্যে উচ্চ ফলন শীল বীজ সরবরাহ ও সারসহ কৃষি উপকরণে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান ইত্যাদির প্রচলন থাকলেও কৃষক যখন মাঠে কাজ করবেন তখন তার স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা তথা মানসিক প্রশান্তির জন্য কোনো অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। ফলে কৃষককে মাঠে-ঘাটের নোংরা কাদামাটির ওপর বসেই খাবার খেতে হয়। কাছাকাছি কোনো নিরাপদ পানির উৎস না থাকায় মাঠ বা ডোবার পানি খেতে হয়। । ফলে কৃষক শ্রমিকদের স্বাস্থ্যহানিসহ কর্মক্ষমতা কমে যায়। সাধারণ কৃষক শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে জলাতেতৈয়া ও আশেপাশে গ্রামের ফসলি মাঠের মাঝখানে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা ও পাশাপাশি পানির তৃষ্ণা মেটাতে নিরাপদ পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্রামাগারে এখন প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রামের কৃষক ও দিন মজুররা কাজের ফাঁকে তাদের খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন ও বিশ্রাম নিতে পারেন।
বিশ্রামাগারের উপকারভোগী তেতৈয়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান,শতশত একর জমি এ মাঠে রয়েছে। এ জমিতে আগে আমরা যখন কাজ করতে যেতাম তখন রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজ করতে হতো। অনেক কৃষক শ্রমিকদের দেখতাম জমির আইলে বসে অনেকটা কাদামাখা হাতে রোদের ভেতরে খাবার খেতে। খাবার জন্য যে সামান্য পানিটুকু নিতেন তা থেকে অল্প একটু পানি দিয়েই তাদের হাত ধোয়ার কাজ সারতে হতো. কিন্তু এখন তারা বিশ্রামাগারে এসে নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছেন। সুন্দরভাবে হাতমুখ পরিষ্কার করে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে এবং বিশ্রাম নিতে পারেন। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, এই মহৎ উদ্যোগ নেয়ার জন্য।