কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের বলরা গ্রামে রহস্যজনক ভাবে বসত ঘরের আসবাবপত্র চুরি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিনের ছেলে আরমান বাঁধন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আরমান তার পরিবার নিয়ে ব্যবসার সুবাধে কুমিল্লা বসবাস করে আসছে। গত ১৫ আগস্ট বাড়ীর গৃহের জালানা, টিনসেড বিল্ডিং এর দরজা বন্ধ করে কুমিল্লা চলে যায়। পরবর্তীতে ২৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে বাড়ীতে এসে দেখে গৃহের ওই দরজা নতুন তালা দেখতে পায়। তালা ভেঙ্গে ঘরে ডুকে দেখে ফ্রিজ,কাঠের আলমারী,পানির মটর,গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা, ৫টি সিলিং ফ্যানসহ ঘরের বিভিন্ন মূল্য আসবাবপত্র চুরি করে কেবা কাহারা নিয়ে যায়।
বাদী আরমানের বাবা বোরহান উদ্দিন জানান, শুক্রবার বাড়ীতে এসে নতুন তালা ভেঙ্গে ডুকে ঘরের সব এলোমেলো দেখতে পাই। ঘরের সকল আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনী জিনিসপত্র কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বাড়ীর পাশের মসজিদে আমার বসত ঘরের ৫টি সিলিং ফ্যান সাঁটানো দেখতে পাই। মসজিদের পরিচালনা কমিটি ও মুসল্লী সিলিং ফ্যানের বিষয়টি বললে তারা আমাকে বলেন, রাতের অন্ধকারে কে কাহারা ফ্যান গুলো সাঁটিয়েছে তা সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
তিনি আরো জানান, মসজিদের পাশে মাছের কয়েটি খামার রয়েছে। খামার গুলো দেখাশুনা করেন ওই গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে মানিক। চুরির ঘটনা কারা ঘটিয়েছে মানিক বিষয়টি যেনেও মুখ খোলেনি।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মুসল্লী মো.সিদ্দিকুর রহমান জানান, মুসজিদের পুরাতন ৩টি সিলিং ফ্যান খুলে রাতের অন্ধকারে কেবা কাহারা ৫টি ফ্যান সাঁটিয়ে দেয়। এ বিষয়ে মসজিদের অন্যান্য মুসল্লীদের কাছ থেকে শুনতে পাই সুজন ও জিলানী নামে দুই যুবক রাতের অন্ধকারে এ ফ্যান গুলো সাঁটিয়ে পুরতন ৩টি খুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, বলরা চুরির বিষয়টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ছবি: কচুয়ায় বলরা গ্রামে বসত ঘরে আসবাবপত্র রহস্যজনক চুরির দৃশ্য।