চাঁদপুর জেলা বিএনপির নব গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটির সাধারণ সভাকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ছিল উল্লাসিত।
৩০ আগস্ট বুধবার চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ সভায় অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমেদ আজম খান। তিনি বলেন, সরকার তার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আগামী নির্বাচনে যেন ভোট লুট করতে পারে, জনগণ যেন ভোট না দিতে পারে সেজন্য সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা যখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলি, যখন বলি সরকার সুস্থ নির্বাচন দিতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই নির্দলীয় নিরপক্ষ নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন। নির্বাচন অন্তবর্তী কালীন সময়ে সুষ্ঠ ভোটের জন্য নিরপক্ষ স্বল্প মেয়াদী একটি সরকার। যার মাধ্যমে সুস্থ ও নিরপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাহলেই আমরা নির্বাচন করব। সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এগুলো সরকারের ভালো লাগেনা। সরকার বলে আমরা সংবিধানের বাহিরে যাব না। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছিল। সরকার সেটাকে আদালতের মাধ্যমে বিলুপ্ত করে দিল কেন। সংবিধানের কথা বলে সরকার এই যে ২০১৪ সালের নির্বাচন গেল। সেই নির্বাচন কোন সংবিধানের ধারায় আছে এইভাবে হতে পারে। সংবিধানের ৬৫-২ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ। যেখানে ১৫৩ আসন পেলে সরকার গঠন করা যায় সেখানে ১৫৪ আসন নির্বাচন ছাড়া হয়ে গেল। এটা কি সংবিধানসম্মত? ২০১৮ সালে দেখলাম দিনের ভোটটি রাতে হয়ে গেল। সংবিধানের কোন ধারায় লেখা আছে একথা। সংবিধানের কথা বলে সরকার প্রতি পদে পদে সংবিধান লঙ্ঘন করছে। আর ফ্যাসিবাদী শাসন রক্ষার জন্য সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমেরর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা রাশেদা বেগম হীরা, সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ, আলহাজ্ব শফি উদ্দিন আহমেদ, এস এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, মোশাররফ হোসেন, সদস্য এম এ হান্নান।
এছাড়া আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, জসিম উদ্দিন খান বাবুল, ডা.শামীম আহমেদ, আবদুস শুক্কুর পাটোয়ারী, শরীফ মোঃ ইউনুস, দেওয়ান সফিকুজ্জামান, এড. এ টি এম মোস্তফা কামাল, মো.খলিলুর রহমান গাজী, এড.মো. মিজানুর রহমান, হুমায়ুন কবির প্রধান, ফেরদৌস আলম বাবু,ড.আলমগীর কবির পাটোয়ারী, ডি এম শাহাজাহান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি, এড.হারুন উর রশিদ, এড. জহির উদ্দিন বাবর, এড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মো. আফজাল হোসেন, এড.মুনিরা বেগম চৌধুরী, শাহজালাল মিশন, দফতর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, প্রচার সম্পাদক শরিফ উদ্দিন পলাশ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাজী মো. ইব্রাহীম জুয়েল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.কোহিনুর রশিদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক বশির আহম্মেদ রিপন খান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত উল্যা খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর জাকির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জসীম উদ্দিন পাটোয়ারী, শিশু বিষয়ক সম্পাদক এড. শিরীন সুলতানা মুক্তা, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হুমা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমীন খান আকাশ, মানিকুর রহমান মানিক, ফয়সাল আহমেদ বাহার, সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম জগলু, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এড. শিরিন আক্তার সুপ্তা,সদস্য মাহবুবুর রহমান শাহীন, নজরুল ইসলাম নজু, জোহরা আনোয়ার হীরা, নাহিদা আক্তার সেতু, শাহীনা আক্তার সানু, নাছরিন আক্তার, শাহাজাহান কবির খোকা।
এছাড়া সভায় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও তাদের বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, সম্মেলনের এক বছর পরে চাঁদপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত পত্রে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে সভাপতি ও এডভোকেট সলিম উল্যা সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্য উপদেষ্টা ও ১৫২ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।